Daily News BD Online

শেরপুরের জেলা রেজিস্ট্রার নুর নেওয়াজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

 


  •  নিকাহ রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর জাল করে ইস্তফা-রিজাইনের মিথ্যা নাটক

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ  নুর নেওয়াজের  বিরুদ্ধে শেরপুর সদর উপজেলার ১০ নং চর পক্ষিমারী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে ইস্তফা/ রিজাইন লেটার তৈরি করে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মোটা  অংকের টাকার চুক্তিতে নতুন নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিতে আইন মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন প্রেরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় শেরপুর জেলার সদর উপজেলাধীন ১০ নং চর পক্ষিমারী ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ শফিকুল ইসলাম বিগত ১৭/১১/২০১২ ইং তারিখে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে অদ্যবধি সরকারি কোষাগারে নিয়মিত রাজস্ব জমা দিয়ে সুষ্ঠ ও সুন্দর  ভাবে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন। 

এমতাবস্থায় নতুন নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার হীন উদ্দেশ্যে বর্তমান জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ নুর নেওয়াজ স্বাক্ষরিত জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ০৩-০৪-২০২৪ খ্রিঃ তারিখের  ১০.০৫.৮৯০০.০০১.৩২.০০১.২৪.১৩৬ নং 

স্মারক মূলে উক্ত ইউনিয়নে কর্মরত নিকাহ মোঃ শফিকুল ইসলামের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে ইস্তফা/ রিজাইন লেটার তৈরি করে মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে নতুন নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিতে  আইন মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন প্রেরন করেছেন। পরবর্তীতে উক্ত ইউনিয়নে কর্মরত নিকাহ মোঃ শফিকুল ইসলাম আইন মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করিলে উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তেক্ষেপে জেলা রেজিস্ট্রার নুর নেওয়াজ উল্লেখ করেন যে

 যে, ০৩-০৪-২০২৪ খ্রিঃ তারিখের ১০.০৫.৮৯০০.০০১ ৩২.০০১. ২৪.১৩৬ নং স্মারকে যে পত্রখানা প্রেরণ করা হয়েছিলো  তা ছিলো অনিচ্ছাকৃত এবং শেরপুর পৌরসভা ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার জনাব আবুজর মোঃ আল-আমিন অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে পত্রখানা অগ্রায়ণ করতে বাধ্য করেছে যা একজন সরকারী চাকরিজীবীর জন্য বড়ই লজ্জার বিষয়।  আবেদনে জনাব শফিকুলের যে স্বাক্ষর রয়েছে তা জনাব আবুজর মোঃ আল-আমিন নিজে শফিকুল সেজে শফিকুলের স্বাক্ষর প্রদান করেছে। ভবিষ্যতে কোন কিছু যাচাই না করে অগ্রায়ণ করবে না মর্মে অঙ্গিকার করে অর্থাৎ কোন অবৈধ শক্তির নিকট আর কখনই নতি স্বীকার করবে না বলে গত ০৭-০৭-২০২৪ খ্রিঃ তারিখে ১০.০৫.৮৯০০.০০১.৩২.০০১.২৪.২৪০ নং স্মারক মুলে আইন মন্ত্রনালয়ে পত্র প্রেরন করেন। এবিষয়ে উক্ত ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রারের এক আত্নীয় বলেন যে সরকারের এতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে শুধু মাত্র ব্যাক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে

অধিক টাকার আশায় এমন অসৎ উপায় অবলম্বন করে  কতিপয় দালাল ও কর্মচারীর সহযোগিতায় নিকাহ রেজিস্ট্রারের সীল-স্বাক্ষর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ইসতফা/ রিজাইনের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এখন 

উর্ধতন কতৃপক্ষের চাপে নিজে বাচার জন্য  কর্মচারীদের উপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। 

ইতি পূর্বেও অনিয়ম দূর্নীতি ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে শ্রীবরদী উপজেলার ২ নং রানী শিমূল ইউনিয়নে মোঃ মাসুম বিল্লাহ নামে পর্নোগ্রাফি মামলায় ৫ বছরের সাজা প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ২৩/০১/২০১৯ ইং তারিখের ১০৩(৮) নং স্মারকটি লাল কালি দিয়ে কাটা ছেড়া করে ১০৩(৮) স্থলে ১০৩(৭) নং জাল ভূয়া স্মারক ব্যবহার করে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ পত্র সৃজন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন