Daily News BD Online

মুরাদনগরের বন্যার্ত মানুষের যেন এক পরম বন্ধু কায়কোবাদের পরিবার

 


হাফেজ নজরুল, মুরাদনগর :
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় একে এক তলিয়ে যেতে থাকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম। প্রথম দিকে বানের তীব্রতা বেশি না থাকায় ঘরবাড়িতে অবস্থান নেওয়া মানুষ হয়ে পড়ে পানিবন্দি। বেরিবাধ এলাকায় প্রায় সকল বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় ১৫ টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় বানবাসি মানুষ। এখন পানি কমতে শুরু করায় লোকজন আবার বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে ভয়াবহ এক সাপ্তা জুড়ে বানভাসি মানুষদের বন্ধু হয়ে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে কাজ করেছেন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনের পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রিয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও তার পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কায়কোবাদ ও তাঁর পরিবার প্রায় ৫ হাজার বন্যাার্ত পরিবারের মাঝে তিনবেলা রান্না করা খাবার বিতরনসহ বাঁধ নির্মাণ, চিকিৎসাসেবা, উদ্ধার তৎপরতা, হেল্প ডেস্ক চালুকরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সকল প্রর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে। তাঁরা তীব্র পানির স্রোত  উপেক্ষা করে পাশে দাঁড়ান বানবাসি অসহায় মানুষের। প্রথমদিকে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও তার পরিবার নিদ্দের্শে বেরীবাধ এলাকার প্রতিটি স্থনের পানিবন্দি মানুষদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তারাঁ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে নেমে পড়েন উদ্ধারকাজে। ট্রাকে বয়ে নৌকা নিয়ে নেমে পড়েন বন্যাদুর্গতদের মানবিক সাহায্যে।
বিভিন্ন অশ্রয় কেন্দ্রে অশ্রয় নেওয়া একাদিক লোকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, কায়কোবাদ ও তাঁর পরিবার মুরাদনগর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার সব রকম প্রেক্ষাপটে মানুষের পরম বন্ধু হয়ে কাজ করেন। এবারের বন্যায় তাদের উদ্যোগ আমাদের রিতিমতো হতবাক করেছে। তাদের নির্দ্দেশে বিএনপির লোকজন অক্লান্ত শ্রম ও সহসের মধ্য দিয়ে তারা অসংখ্য বানভাসি মানুষকে চরম বিপদে থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা তিন বেলা খাবার দেওয়াসহ নানা সহায়তা নিয়ে বন্যার্তদের পাশে আছেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক বলেন, ‘কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও তার পরিবারে ব্যাক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সদস্যরা তেনবেলা রান্না করা খাবারসহ বিভিন্ন প্রকার ত্রাণ ও চিকিৎসাসেবা দুর্গত এলাকাসহ আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে। আমাদের নেতার নির্দ্দেশে করা হয়েছে জরুরি খাদ্য সহায়তার বন্দোবস্ত। এছাড়া বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর স্থানীয়দের পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করেছেন শাহ পরিবার। যতদিন পর্যন্ত বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততদিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ‘উপজেলা বিএনপির সদস্যরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গত এ সাপ্তাহ কমপক্ষে দশ হাজার মানুষকে সেবা দিয়েছে। মাইকিং ও পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধারের পাশাপাশি প্রতিটি পরিবাররদের মাঝে বিভিন্ন প্রকার রান্না করা খাবার, খাবার পানি, শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে এবং বিএনপির সকল সদস্যরা দিন-রাত বন্যার্তদের জন্য কাজ করছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন