Daily News BD Online

সিসিআইসির প্রজেক্ট সিইও এর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির ফিরিস্তি

হিমেল আশরাফ (স্টাফ রিপোর্টার) :

সিসিআইসি কানাডিয়ান কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল ফর কো-অপারেশনের বাংলাদেশের নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল আহমেদের বিরুদ্ধে রাজশাহীর একটি প্রজেক্টে ৮ কোটি টাকা দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, তিনি একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রী-এমপিদের সাথে তার সু-সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারদের সাথেও তার সম্পর্ক রয়েছে। এই সুবাধে ক্ষমতা দেখিয়ে সিসিআইসির বিভিন্ন প্রজেক্টের আংশিক কাজ করে প্রকল্প থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। 

একটি সূত্রে খোঁজ নিয়ে এবং সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সিসিআইসির এই কর্মকর্তা রুবেল আহমেদের ঢাকার উত্তরায় ১২নম্বর সেক্টরে নিজ নামে একটি চার তলা বিলাশ বহুল বাড়ি রয়েছে। এবং খাগড়াছড়িতে ১০ একর জমির উপর একটি রিসোর্টে ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ফরিদপুরে ৮ একর জমিতে একটি খামারবাড়ী রয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে তার নামে একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া কানাডাতে বাড়ি আমেরিকাত বাড়ি ও দেরা দুবাইতে তার নিজ নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

২০১৯ সালে সিসিআইসির একটি প্রকল্পের ৭২ কোটি টাকার দূর্নীতির অভিযোগে করা একটি মামলায় সিআইডিতে তার অবৈধ আয়ে বিলাস বহুল ২টি গাড়ি একটি রেঞ্জ রোভার এবং আরেকটি হেরিয়ার গাড়ি যার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা ও ৬টি বিলাস বহুল ফ্ল্যাট যার বাজার মূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ক্ষমতা দেখিয়ে ওই মামলাটিও সে ধামাচাপা দিয়ে দেয়। এবং সেই মামলায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে।

তার এসব দূর্নীতির কর্মকান্ডে কানাডিয়ান হাইকমিশনের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাই কমিশনারের সাথে তার সু-সম্পর্ক থাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রকার অভিযোগ এবং মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। কেউ যদি তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করে তাহলে তাকে চাকরিচুত করা হয়।

খোঁজ নিয়ে আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলা শহরে। সেখানেও তার নামে বাড়ি ও অঢেল সম্পত্তি রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন