নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মাদক নিয়ে দন্দ্বে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক মাদক সেবী। পড়ে জনতার গণধোলাইয়ে নিহত হয়েছে ওই ঘাতক।
এ ঘটনায় আরেকজন আহত হয়েছে। বৃহৎপতিবার রাত পৌনে নয়টায় উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের ধুবড়িয়া পূর্বপাড়া (কাতার মার্কেট) নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে ।
নিহতরা হচ্ছেন ওই গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে আঃ ছাত্তার (৫০), মুকুল মিয়ার ছেলে আসাদুল(২৮) এবং বাসি মিয়ার ছেলে ঘাতক মোঃ তালেব (২৫)।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন ট্রিপল মার্ডারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ,হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ধুবড়িয়া গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে মাদকাসক্ত আসাদুল স্থানীয় কাতার মাকের্ট এর সামনে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিল এ সময় একই গ্রামের বাসি মিয়ার ছেলে আরেক মাদকাসক্ত মোঃ তালেব ঘটনা স্থলে এসে আসাদুলের সাথে কথা কাঁটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে তালেব ধারালো ছেনি দিয়ে আসাদুলকে উপুর্যপুরী কুপাতে থাকে। এ সময় আসাদুলের চাচা আঃ ছাত্তার বাধা দিলে তাকেও উপুর্যপুরী আঘাত করে।
এ সময় প্রত্যক্ষ দর্শী আজমল মিয়া এগিয়ে এলে তাকেও মেরে আহত করে। স্থানীদের সহযোগিতায় স্বজনরা আঃ ছাত্তার,আসাদুল এবং আজমলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চাচা আঃ ছাত্তার ও ভাতিজা আসাদুলকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত আজমলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে চাচা- ভাতিজার মৃত্যর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক তালেবকে ঘটনা স্থলে একটা খুটির সাথে বেধে গণপিটুনি দিয়ে তাকেও হত্যা করে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন মুঠো ফোনে জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত কারা হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।