শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানী শিমূল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্লাত আকন্দের বিরুদ্ধে এক ইউপি সদস্যের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানী শিমূল ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও বালীজুরী গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে আলহাজ নুরল হক চাঁদা দাবী ও মেরে ফেলার হুমকির বিষয়ে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শ্রীবরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উক্ত রাণীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাত্র জনতার আন্দোলন ও গনঅভ্যুত্থানে শেরপুরে নিহত সবুজ হত্যা মামলার আসামী আব্দুল হামিদ সোহাগের সঙ্গে আতাত করে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাসধরা গ্রামের মৃত হবি আকন্দের ছেলে মিল্লাত আকন্দের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন চাঁদাবাজি, অপকর্ম ও কু কর্ম করিয়া বেড়ায়।
৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর ইউনিয়ন বিএনপির এই নেতা দলের নাম ভাংগিয়ে বিভিন্ন জনকে হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে এলাকায় অতংক সৃষ্টি করে আসছে। ইতি পৃর্বেও তিনি চেয়ারম্যান কে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। সরকার পতনের পর তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে গেছে। ঘটনার দিন সকালে নুরল হক মেম্বার সহ উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ এবং এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের গ্রেফতার ও অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিল্লাত আকন্দ তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন শেষে ঐ দিন ১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টার দিকে তিনি সহ অনান্য সদস্যদের সাথে বকসিগন্জ রোডে মিল্লাত আকন্দের চাউলের দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে এবং এক পর্যায়ে মিল্লাত আকন্দের পায়ে থাকা জুতা খুলিয়া তাকে মারপিট করার জন্য আক্রমণ করে। তার ডাকচিৎকারে অনান্য সদস্যগন ও আশেপাশের লোকজন চারদিক হইতে আসিয়া ফিরফার করিয়া দেয়। এসময় মিল্লাত আকন্দ হুমকি প্রদান করে যে, রাণীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বারী করিলে তাকে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দিতে হবে, চাঁদা না দিলে তাকে ভায়াডাঙ্গা বাজারে আসতে দিবে না এবং সাক্ষীগণের সম্মুখে হুমকি প্রদান করে যে, ভায়াডাঙ্গা বাজারে আসলে তাকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলবে এবং তার ও তার পরিবারের লোকজনের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিবে।
ইতি পৃর্বেও মিল্লাত আকন্দ ঝিনাইগাতী উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মজিবর রহমান এর ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোঃ মোতালেব হোসেন এর নিকট চাঁদা দাবী ও মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানী ভয় দেখায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রাপ্ত হওয়ার খবর শুনে মালাকুচা গ্রামের আফরুজা মেম্বারনীর মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে মিল্লাত আকন্দের সাথে যোগাযোগ করা তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মীর রুকুনুজ্জামান লাখু অভিযোগটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে নুরল হক মেম্বার ও মোতালেব আমাদের কাছে অভিযোগ করেছিলো পরবর্তীতে থানা এবং ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।