রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে স্পা পার্লারের আড়ালে দেহ ও মাদক বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।অনুসন্ধানে জানা গেছে সহজ সরল নারীদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে চলছে তাদের অবৈধ দেহ ও মাদক বিক্রির কার্যক্রম।স্পা করাতে গিয়ে সর্বস্ব হারানোর অভিযোগ করেছেন অসংখ্য ভুক্তভোগী। দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এবং স্হানীয় কিছু কথিত গণমাধ্যম কর্মীদের ম্যানেজ করে চালিয়ে আসছে তাদের দেহ ও প্রতারনা বানিজ্য।অনেক স্পা পার্লার বাহির হতে তালাবদ্ধ হলেও ভিতরে চলে অনৈতিক কার্যক্রম।সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে চলে কাস্টমার আনা নেওয়ার কাজ।গুলশান-২ নং এভিনিউর ৪৭নং রোড়ের ২৫ নং হাউস লিফটের ৪ নং ফ্লোরে, পায়েল নামক এক নারীর মালিকানাধীন স্পা সেন্টারের ম্যানেজার সোহাগ এর নেতৃত্বে চলছে এই অসামাজিক কার্যকলাপ।
সোহাগ দম্ভ করে বলেন, গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদ আহমেদের অনুমতি নিয়েই আমি এই প্রতিষ্ঠান চালু করেছি। দেশের বর্তমান অবস্থা তো জানেনই, স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া প্রতিষ্ঠান চালানো কঠিন।
গুলশান অভিজাত পাড়াকে সোহাগ-পায়েল মিলে যৌনপারা বানিয়ে ফেলছে।এই স্পা-সেন্টারে নারীরা প্রতারনা,মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়াচ্ছে। স্পা করাতে আসা ব্যক্তিরা এক বার ফেঁসে গেলে আর রেহাই মিলছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান,স্পা করার ভিডিও ধারন করে পরিবার কে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের হতে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়।এ স্পা বা যৌন পার্লারে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষার্থী,যুব সমাজসহ নানা পেশার লোকজন। এ ব্যপারে স্থানীয়রা বলেন, “অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা দাবি জানাই”।
স্পার আড়ালে অনৈতিক কার্যকলাপের ব্যপারে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদ আহমেদ বলেন,"আমার বিষয়ে যে কথা বলা হয়েছে তা সত্য নয়, পুলিশ সব সময় এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। তথ্য ও অভিযোগ পেলে আমরা নিয়মিত অভিযান করে থাকি। আপনার কাছে এমন কোন তথ্য থাকলে প্রতিবেদন দিন এ ধরণের অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।