মোহাম্মদ মাকসুদুল হাসান ভূঁইয়া রাহুল:
মুদ্রা, ব্যাংকনোট ও এই সম্পর্কিত নানান জিনিসের ০৩ দিনব্যাপী এক চমকপ্রদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানী ঢাকায়।
২১-২৩ নভেম্বর রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে এই মুদ্রা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। মুদ্রা ও ব্যাংকনোট সংগ্রাহকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিউমিসম্যাটিক কালেক্টরস সোসাইটি (বিএনসিএস) এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
গত ২১ নভেম্বর এই প্রদর্শনী শুরু হয়। প্রদর্শনীতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও সময়কার নানান মুদ্রা, ব্যাংকনোট সহ মুদ্রা সম্পর্কিত নানান জিনিসের দেখা মেলে। বিশ্বের সবচেয়ে বড ব্যাংকনোট থেকে শুরু করে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ব্যাংকনোট, প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের নানান আকৃতির মুদ্রা ইত্যাদি কী ছিল না এই প্রদর্শনীতে! এছাড়া বিভিন্ন সময়কার মেডেলও প্রদর্শন করা হয়।
মোট ৩৫ জন সংগ্রাহক এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। এটি বিএনসিএস'র ৫ম প্রদর্শনী। এতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রদর্শককে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ব্যতিক্রমী ও সৌখিন এই প্রদর্শনী দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন।
নান্দনিক এই প্রদর্শনী দেখতে আসা একজন দর্শনার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা বলেন, 'মুদ্রা ও ব্যাংকনোট বিভিন্ন দেশ ও সময়কালের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, জীবনধারা ইত্যাদির সাক্ষী দেয়। মনোমুগ্ধকর এই প্রদর্শনীতে দেখতে এসে আমার ভীষণ ভালো লাগছে।'
মুদ্রা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবীর আহাম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যমুনা ব্যাংক পিএলসি'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মির্জা ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি'র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখ মোহাম্মদ আশফাক এবং বিএনসিএস'র সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম। এছাড়া ৩ দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে বিএনসিএস'র কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্য, সংগঠনটির আজীবন সদস্য, বিভিন্ন সংগ্রাহক ও অগণিত দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন। এই প্রতিবেদক নিজেও একজন মুদ্রা-ব্যাংকনোট সংগ্রাহক এবং বাংলাদেশ নিউমিসম্যাটিক কালেক্টরেটস সোসাইটি'র একজন আজীবন সদস্য।
মুদ্রা ও ব্যাংকনোট একটি দেশের পরিচয় বহন করে। সৌখিন সংগ্রাহকরা বিশ্বের নানান রাষ্ট্রের, বিভিন্ন সময়কার মুদ্রা, ব্যাংকনোট ও এই সম্পর্কিত নানান জিনিস সংগ্রহে রাখেন। এধরণের সংগ্রহকে বলা হয় নিউমিসম্যাটিক। বিএনসিএস কর্তৃক আয়োজিত নান্দনিক প্রদর্শনীটি দর্শনার্থীদের মন জুড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ধরণের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ নিউমিসম্যাটিক কালেক্টরেটস সোসাইটি।