গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মুন্সীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী এক নারী। গতকাল বুধবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ওই ভুক্তভোগী নারী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, গত ২৮ মে তারিখে বাদশা মুন্সী তার স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বলে আমাকে নিজ বাসভবনে আসতে বলেন। আমি তাকে দাদু বলি। ওই দিন তার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীকে না দেখে আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি তার বাসার বাইরে আসতে গেলে তিনি দরজা বন্ধ করে দেন এবং আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় তিনি ওই ঘটনার ভিডিও ধারন করেন এবং আমাকে হুমকি দেন এই বলে যে এ ঘটনার কথা কাউকে বললে তিনি ওই ভিডিও ফেসবুকসহ সর্বত্র ভাইরাল করে দেবেন। এরপর তিনি আমাকে ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। পরে প্রায়ই তিনি আমাকে তার সাভারের বাসায় ডাকেন ধর্ষণ করার জন্য। কিন্তু আমি তাকে সাড়া দেইনি। আমার সাড়া না পেয়ে তিনি আমার স্বামী ও শ্বশুরকে আমি খারাপ তাই বলেন। আমার স্বামী আমার কাছ থেকে সব শুনে বাদশা মুন্সীর নিকট এসব করার কারন জানতে চাইলে তিনি তাকে বলেন,তোর স্ত্রীর সাথে আমি যা করেছি ভালো করেছি।তুই পারলে আমার কিছু করিস।
এরপর আমি সদর থানায় যাই মামলা করার জন্য। তবে সদর থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আমাকে ভোগানো শুরু করলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। বাদশা মুন্সীর এক ভাই এএসপি সিরাজুল ইসলাম রুবেল এবং অন্য ভাই এনএসআই কর্মকর্তা রাসেল মুন্সি। তাদের জন্যই থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি। আমি কোর্টে মামলা দায়ের করার পর গত ১৫ নভেম্বর তারিখে বাদশা মুন্সীর ভাই রাসেল মুন্সী কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সাথে নিয়ে আমার বাড়ীতে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে। তারা অনবরত হুমকি দিচ্ছেন। আমি ও আমার পরিবার ভয়ে বাড়ীর বাইরে আসতে পারিনা। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।