শাহাদাত হোসেন মানিকঃ
রাজধানীর উত্তরায় বাড়ছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের সংখ্যা। বিদ্যুতের প্রধান সঞ্চালন লাইন থেকে অবৈধ সংযোগ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। এ ছাড়া বিদ্যুৎ লাইন হুক থেকেও দেয়া হচ্ছে অবৈধ সংযোগ। এসব সংযোগের বাড়তি বিল বহন করতে হচ্ছে না এর বিল নিচ্ছে ডেসকো। উত্তরার জোনের ডেসকো কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশ করে এহেন কাজ করেন। অথচ অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ত্ববধয়াক প্রকৌশলী মো:মোস্তাফিজুর রহমান আকন্দও তার সিন্ডিকেট কর্মকর্তা-কর্মচারী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরা এলাকার বাউনিয়া,দলিপাড়া,চন্ডালভোগ, নলভোগ এলাকায় অবৈধ ইজিবাইক গ্যারেজ বসিয়ে হুক লাগিয়ে বিদ্যুতের মূল খুঁটি থেকে সংযোগ নিয়ে বৈধভাবে ইজিবাইক চার্জ দিয়ে আসছে দীর্ঘ দিন।
আশপাশের বাসাবাড়ি ও দোকানপাটগুলোতে বাতি, পাখা, এলইডি টিভি, ফ্রিজ এমনকি রান্নার হিটারও চলছে অবৈধ সংযোগে। এসব বাসা ও দোকানপাটে অবাধে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হলেও মিটার না থাকায় তাদের ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ জানারও কোনো উপায় নেই। আর মাস গেলে তাদের বিল দিতে হচ্ছে মাত্র ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুতের লাইনম্যান মুসাফিকুর রহমান টিপুও অপারেটর সফিককে দিয়ে এমন কাজ করেন তত্ত্ববোধক প্রৌকশলী মো: মোস্তাফিজুর রহমান আকন্দ। তাছাড়া কিছু কর্মচারীরা নিজেদের নামে বিদ্যুতের মিটার নিয়ে একাধিক ভাড়াটিয়াকে অবৈধভাবে সংযোগ দেন। এভাবে তারা বছরের পর বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীরাও এর সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে আকাশ জানান, প্রতিবেদককে গত জুলাই মাসে রাতে অনুমানিক ৪ টা দিকে আমার বৈধ লাইন কেটে দিয়ে ৪৮ চল্লিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন এ নিয়ে আমি উত্তরা পশ্চিম ডেসকো অফিসে একটি অভিযোগ করি।
অন্য এক গ্রাহক জহির বলেন,দলি পাড়া এলাকায় আমার একটি রিসকা গ্যারেজ আছে। রাতে টিপু আমার কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা নেয়ে।
লাইনম্যান মুসাফিকুর রহমান টিপু বলেন,আমি ধার টাকা নিয়ে ছিলাম আমি পরে দিয়ে দিব।
তত্ত্ববোধক প্রৌকশলী মো: মোস্তাফিজুর রহমান আকন্দ মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।