Daily News BD Online

উত্তরের জনপদে জেঁকে বসছে শীত



হিমকন্যা পঞ্চগড়ে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে শীতের দাপট। হেমন্তের বিদায়লগ্নে জেঁকে বসছে শীত। রেকর্ড হচ্ছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।

ভোরে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা না থাকলেও কনকন শীত অনুভূত হচ্ছে উত্তরের সীমান্ত জনপদে। ভোর থেকেই কর্মব্যস্ততায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষকে। দিনমজুর, পাথর ও চা শ্রমিক, ভ্যান চালকরা কাজে বেরিয়েছে সকাল-সকাল। নবান্নের ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘরের কৃষাণীরা।

স্থানীয় আসির উদ্দিন, কামাল ও হোসেন আলীসহ কয়েকজন বলেন, আগের থেকে অনেক ঠান্ডা পড়েছে। আমাদের মতো বয়স্কদের জন্য শীত অনেক কষ্টের। দিনের বেলা গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে। রাতে কম্বল কিংবা মোটা কাঁথা নিতে হয়। বিশেষ করে আমাদের উত্তরের জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ) পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে।

ভ্যান চালক দেলোয়ার, রাজ্জাক ও হান্নান জানান, জীবিকার তাগিদে ভোরেই ভ্যান নিয়ে বের হতে হয়েছে। আগের থেকে অনেক ঠান্ডা পড়ে গেছে। ঠান্ডার মধ্যে অনেকে ভ্যানে চড়তে চায় না। তবুও বের হয়েছি।

তৌহিদুল, জুয়েল ও আরশেদসহ কয়েকজন দিনমজুর জানান, কয়েকদিন ধরে শীত বেশি মনে হচ্ছে। বিশেষ করে দুইদিন ধরে। সকালে ও সন্ধ্যার পর ঠান্ডা বেশি লাগে। সকালেই কাজে বের হয়েছি। কাজ তো করতে হবে। সংসার আছে। তাই কাজ করতে বের হয়েছি।

এদিকে রাতে ঠান্ডা ও দিনে গরম হওয়ায় বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। প্রায় ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি ও জ্বর হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, দুইদিন ধরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে পঞ্চগড়ে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৩ ডিগ্রিতে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা তত কমতে শুরু করবে।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন