রবিউল করিম হৃদয় বগুড়া সদর প্রতিনিধি :
গত শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কলেজের নতুন ভবনের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মেহেদী হাসান বগুড়া শহরের মালগ্রামের চাপরপাড়া (আদর্শপাড়া) এলাকার রফিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর সহযোগী ছিলেন। গতকাল রোববার মেহেদীর মা সুখী বেগম ওরফে শ্যামলা বাদি হয়ে ৩ জনের নামে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, মেহেদী হাসান বন্ধুদের সাথে গত শনিবার রাতে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের নতুন ভবনের মাঠে কনসার্ট দেখতে যায়। কিন্তু কনসার্ট দেখতে গিয়েই দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে তার ছেলে নির্মমভাবে খুন হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রকি, মতি ও সাকিলসহ ৮-৯ দুর্বৃত্ত কলেজের নতুন ১০ তলা ভবনের অদূরে পুকুর পাড়ের কাছে জোড়া খেজুর গাছের সামনে মেহেদীকে একা পেয়ে তার পেটসহ শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে তার ভুড়িও বের হয়ে যায়। এরপর দুর্বৃত্তরা চলে গেলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাদি সুখী বেগম আরও জানান, তার ছেলে মেহেদীর সাথে শহরের জহুরুল নগর এলাকার আসামি রকি,মতি ও সাকিলের পূর্ব বিরোধ ছিল। এর আগেও ওই আসামিরা তার ছেলেকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছিল।
মেহেদীর একাধিক বন্ধু জানায়, মেহেদী তাদের সাথেই ছিল। তারা একসাথে কলেজ মাঠে কনসার্ট দেখছিল। এ সময় মেহেদী সেখান থেকে প্রস্রাব করার জন্য ১০ তলার কাছে যায়। কিন্তু সেখানে আসামিরা মেহেদীকে একা পেয়ে তাকে উপর্যুপরীভাবে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। কিন্তু পরে তারা টের পেয়ে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় মেহেদীকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্ত হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম.মঈনুদ্দীন জানান, মেহেদী খুনের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
Tags
বগুড়া