সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে সংবিধানের সূচনা থেকে শুরু করে তফসিল পর্যন্ত মোট ৬২ জায়গায় সংশোধী, সংযোজনীর প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিটি'র প্রধান ডক্টর আলী রিয়াজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ প্রস্তাব দেন বিএনপির স্থানী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এদিন সকাল ১১টার দিকে প্রতিনিধি দল নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনে যান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রস্তাবনার মূল অংশে বাংলাদেশের রাজনীতির ক্যারেক্টার পরিবর্তন করে দেয়ার মত যেসব বিধান পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এনেছিল সেগুলোসহ নতুন কিছু প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার ভারসাম্য রাখার জন্য বিধান রেখেছি। পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হবেন না, সংসদের উচ্চ-কক্ষের প্রস্তাব করেছি। অধীনস্থ আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোনর্টের হাতে এবং যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের রাখার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছি।
তিনি বলেন, উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ আগে ছিল। সেটাকে পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব করেছি। যে সমস্ত বিষয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বেশি, যেমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রবর্তন মানুষের এক নাম্বার আকাঙ্খা। যা আদালতে বিচারাধীন আছে, জনগণের পক্ষেই আসবে বলে আশা করি। গণভোটের বিধান আওয়ামী লীগ বাতিল করেছিল সেটা পুঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব করেছি।
সংবিধান সংস্কার নাকি পূর্ণ লিখন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ব্যাপক ভিত্তিক সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করেছি। যাতে এটা গণতান্ত্রিক সংবিধান সংশোধন হয় এবং জনগণের আকাঙ্খা পূরণ হয়।
সংবিধান সংস্কার এই সরকার করতে পারবে নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থানী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের রিকমেন্ডেশন সরকারের কাছে প্রদান করবে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সব রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করবেন। চূড়ান্ত করার পরে দেখা যাবে অধিকাংশই একমত পোষণ করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো দিমত থাকতেই পারে। যেসব বিষয় ঐক্যমত হবে, সেগুলো আমরা যদি অঙ্গীকার করি এবং নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে প্রতিফলন করি তাহলে সবার একটা অঙ্গীকার থাকবে। পরবর্তী পার্লামেন্টের যারা আসুক তারা সেইভাবেই পরিবর্তন করবে।