দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন প্রবীণ সাংবাদিক আঃ মজিদ খান। তিনি জানান, গত ১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসান সরকার এবং তদন্ত কর্মকর্তা প্রদীপ রায়ের কাছে নয়জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
প্রবীণ সাংবাদিক আঃ মজিদ খান জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণাদি জমা দেওয়ার পরও পুলিশ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ওসি এবং তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও শুধুমাত্র আশ্বাস পেয়েছেন। প্রতিবারই তাকে বলা হয়েছে, "তদন্ত চলছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে," কিন্তু বাস্তবে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে তিনি আবারও বোচাগঞ্জ থানায় যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই সময় ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তা কারও সঙ্গেই দেখা করতে পারেননি। এমনকি তাদের মুঠোফোনে কল করলেও তারা কল রিসিভ করেননি। এতে করে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "যদি পুলিশের এমন উদাসীনতা থাকে, তবে সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার কীভাবে নিশ্চিত হবে?"
অভিযোগকারী আঃ মজিদ খান আরও জানান, গত ১৬ দিনে নয়টি অভিযোগ, পাঁচটি মামলা এবং দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেও কোনো সাড়া মেলেনি। তিনি হতাশা ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তার প্রশ্ন, "প্রমাণ থাকার পরও যদি আসামিরা ধরা না পড়ে, তবে সাধারণ মানুষের ভরসা কোথায়?"
এ বিষয়ে বোচাগঞ্জ থানার ওসি জাহিদ হাসান সরকার এবং তদন্ত কর্মকর্তা প্রদীপ রায়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
স্থানীয়রা এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, প্রমাণ থাকার পরও পুলিশি উদাসীনতা আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা দ্রুত এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রবীণ সাংবাদিক আঃ মজিদ খান প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং আসামিদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি শুধু ন্যায়বিচার চাই। এটা শুধু আমার জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও একটি উদাহরণ হওয়া উচিত।"