মোহাম্মদ মাকসুদুল হাসান ভূঁইয়া রাহুলঃ
ইলন মাস্ক এবং ভারতীয়-আমেরিকান উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী নতুন মার্কিন সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (DOGE) বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন। এমনটাই ঘোষণায় জানিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তাদের কাজ হবে- বাইরের পরামর্শদাতা হিসেবে হোয়াইট হাউস এবং ম্যানেজমেন্ট ও বাজেট অফিসের সঙ্গে সহযোগিতা করে সরকার ব্যবস্থায় বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন আনা।
ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (DOGE) কী?
ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি সরকার ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্র কমানোর উদ্দেশ্যে গঠিত। এটি পরিচিত হচ্ছে DOGE নামে, যা ইলন মাস্কের প্রচারিত ডজকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম অনুসারে রাখা হয়েছে। ট্রাম্প সরকারের এই নতুন বিভাগটি মূলত ইলন মাস্কই প্রস্তাব করেছেন। এই বিভাগের মূল উদ্দেশ্য হলো- সরকারি অপচয় কমানো, অনাবশ্যক নিয়মাবলি ছেঁটে ফেলা এবং বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থার পুনর্গঠন করা। এসব ভূমিকা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের অংশ নয় এবং এজন্য সিনেটে অনুমোদনেরও প্রয়োজন হবে না।
ট্রাম্প এই প্রকল্পটিকে ‘ম্যানহাটান প্রকল্প'র সঙ্গে তুলনা করেছেন। ম্যানহাটান প্রকল্প ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির গবেষণা এবং উন্নয়ন কার্যক্রম।
ইলন মাস্ক এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই বিভাগ সরকারের অপচয় রোধে একটি ‘শকওয়েভ’ সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, ‘যে কেউ সরকারি অপচয়ের সঙ্গে জড়িত, তাদের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা হতে চলেছে’।
পাশাপাশি DOGE-এর প্রতিটি পদক্ষেপ জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মাস্ক বলেন, যদি জনসাধারণ মনে করে আমরা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু কমিয়েছি বা অপচয়কৃত কিছু বাদ দেইনি, তাহলে তা আমাদের জানাতে দ্বিধা করবেন না। আমরা করদাতাদের অর্থের সবচেয়ে মূর্খামিপূর্ণ ব্যয়ের জন্য একটি লিডারবোর্ডও রাখব। যা হবে একদিকে দুঃখজনক এবং অন্যদিকে আনন্দের। সংবাদসূত্র: এনডিটিভি