Daily News BD Online

দিনাজপুরে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও চুরির ঘটনায় নোটারি পাবলিকের সম্মুখে অঙ্গীকারনামা স্বীকার


খাঁন মোঃ আঃ মজিদ, দিনাজপুর :
দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ থানাধীন নাফানগর ইউপি বড় সুলতানপুর গুচ্ছগ্রাম আবাসনে ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে একটি মারাত্মক হামলার ঘটনায় আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নোটারি পাবলিকের সম্মুখে অঙ্গীকারনামা স্বীকার করেছেন। এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, মোঃ আঃ মজিদ খান (৬১) পিতা মৃত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহির উদ্দিন খান, এজাহারকারী হিসেবে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় যে, ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০:৩০ মিনিটে বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মোঃ আঃ মজিদ খানকে গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনায় চুরির অভিযোগও আনা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন: 1. লাইসুর রহমান (৫৫), পিতা মৃত মফির উদ্দিন। 2. মোছাঃ লিপি আক্তার (৫০), স্বামী লাইসুর রহমান।
3. মোছাঃ আশা আক্তার, স্বামী মোঃ আঃ মজিদ খান। 4. নয়ন মিয়া, পিতা লাইসুর রহমান। 5. মোছাঃ রাশিদা আক্তার, স্বামী মোঃ দেলোয়ার হোসেন। 6. মোঃ দেলোয়ার হোসেন, পিতা মৃত মমিন (হামিদুল)।
মামলা নং: বোচাগঞ্জ থানার ৪/১০/১১/২০২৩। কোতোয়ালী থানার অপহরণ ডায়েরি ন ং ২১৯৫/৩১/১/২০২৪। বোচাগঞ্জ থানা জিডি নং ৩৩১/০৭/০২/২০২৪। কোর্ট নং: দিনাজপুর কোর্ট ১২৯/১১/১০/২০২৩। ধারা: ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ (||) ১১৪/৩৪ দণ্ডবিধি এবং এবি ডেভিড স্মারক নং ৬০৩/১১/০৩/২০২৪ । 

লাইসুর রহমান ও তার স্ত্রী লিপি আক্তার নোটারি পাবলিকের সম্মুখে স্বীকার করেছেন যে, এজাহারে উল্লেখিত ৩ নং আসামি মোছাঃ আশা আক্তার, যিনি বাদী মোঃ আঃ মজিদ খানের স্ত্রী, তার পিতা লাইসুর রহমানের বাড়িতে নগদ ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৬০০ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার (মূল্য ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা), সাড়ে ১০ ভরি রুপার অলংকার (মূল্য ১৭ হাজার ৫০০ টাকা), একটি এলইডি টিভি (মূল্য ৭ হাজার ৫০০ টাকা), এবং একটি সেলাই মেশিন (মূল্য ৬ হাজার ৫০০ টাকা) সহ মূল্য বাণী মালামাল নিয়ে আসেন।

স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মোছাঃ আশা আক্তার তার দুই শিশু কন্যা জান্নাতি ও মিম আক্তারকে অপহরণ করে এবং নগদ ১৩ লক্ষ টাকা আত্মগোপনে রেখে দেন। লাইসুর রহমান ও লিপি আক্তার তাদের দায় স্বীকার করে প্রতিজ্ঞা করেন যে, উক্ত অর্থ ও শিশুদের গত ২৮ মে ২০২৪ তারিখে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, চুরি, হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, এবং পরিবারে অস্থিরতার মতো ঘটনাগুলো উদ্ভবের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি মামলাকে আরও দৃঢ় করেছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। নোটারি পাবলিকের সম্মুখে দায় স্বীকার ও অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে অভিযুক্তরা তাদের দায় স্বীকার করলেও বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি অমীমাংসিত থাকবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন