এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফ'র গুলিতে বাংলাদেশী দুই যুবক আহতের ঘটনায় দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোম্পানী কমাণ্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তের ২০৫০ নং পিলার এলাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিজিবি'র তীব্র প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ঘটনা তদন্ত করে দোষী সৈনিকদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে বিজিবি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু করে প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী চলে পতাকা বৈঠক। এ বৈঠকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৬০ ব্যাটালিয়নের অধীনস্ত সালদা নদী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমাণ্ডার নায়েব সুবেদার মো. সফিকুর রহমান এবং ভারতীয় বিএসএফ'র ৪৯ ব্যাটালিয়নের পুটিয়া ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার এস.আইমহন সিং। বৈঠকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নিরস্ত্র বাংলাদেশী লোকজনদেরকে গুলি করায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। তাদেরকে বলা হয়, অন্যায়ভাবে গুলি চালানো হয়েছে। এটি কাম্য নয়। এটি খুবই দু:খজনক। তৎপ্রেক্ষিতেই বিএসএফ ঘটনা তদন্ত করে দোষী সৈনিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজিবি ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকার ভারতের ২০৫০ সীমান্ত দিয়ে গত সোমবার বেলা চারটার দিকে ১০/১২ জনের বাংলাদেশী যুবক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। এসময় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাদেরকে প্রতিহত করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হলেও রুকন উদ্দিন (৩৫) ও জাকির হোসেন (৩০) নামের দুই যুবক গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাদেরকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত রুকন উদ্দিন নেত্রকোনার বাহারহাট্রা গ্রামের আজিজ মিয়ার ছেলে এবং জাকির হোসেন কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের (সুলতানপুর) অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল এ. এম. জাবের বিন জব্বার বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী দুই যুবক আহতের ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ'র কোম্পানী কমাণ্ডার পর্যায়ে পতাকা পতাকা বৈঠকে ভারতীয় বিএসএফ নিরস্ত্র লোকজনদেরকে গুলি করায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। তাদেরকে বলা হয়েছে অন্যায়ভাবে গুলি চালানো হয়েছে। এটি কাম্য নয়। এটি খুবই দুঃখজনক। তৎপ্রেক্ষিতে বিএসএফ ঘটনা তদন্ত করে দোষী সৈনিকদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।'
