টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের আগতাড়াইল আফছার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে নাগরপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আফছার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আরমান উদ্দিন চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রফিক উদ্দিন চৌধুরী ও মো. রুবেল হোসাইন।
লিখিত বক্তব্যে আরমান উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ১৯০৮ সালে আগতাড়াইল গ্রামের আফছার উদ্দিন চৌধুরী তার দুই ভাই সামাদ উদ্দিন চৌধুরী ও আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর সহযোগীতায় আফছার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়টি গড়ে তুলেন। বিগত ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মো. আউয়াল। সে সময় প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমানের সহযোগীতায় সভাপতি মো. আউয়াল স্বেচ্ছাচারি হয়ে উঠে। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে অর্থনৈতিক লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন। যার প্রেক্ষিতে ১৩/০৬/২০২২ ইং তারিখে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বিদ্যালয়ের উপর তদন্ত করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ওই সময় একটি স্কুল ঘর নির্মাণ করতে যেয়ে ১২ লক্ষ ৯ হাজার ৯ শত টাকার গড় মিল পায়। যা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে আত্মসাত করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
আরমান উদ্দিন চৌধুরী বিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নাগরপুর থানাকে নির্দেশ দেন। মো. আউয়াল আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন সভাপতির পক্ষে নেন। তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে পূনরায় টাঙ্গাইল ডিবিকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। এখানে সভাপতি মো. আউয়াল সাবেক বানিজ্য মন্ত্রীর সহযোগীতায় দলীয় প্রভাব বিস্তার করে ডিবি পুলিশকে এক ধরনের রিপোর্ট দাখিল করতে বাধ্য করেন। ডিবির প্রতিবেদনে আদালত সন্তুষ্ট না হয়ে ফের পুলিশের পিবিআই শাখাকে দায়িত্ব দেন। দুরন্ধর সভাপতি বিভিন্ন ভাবে পিবি আইকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আফসার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. আউয়াল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তিন বারের সভাপতি। বিদ্যালয়ের একটি জড়াজীর্ণ ভবন আমার ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে মেরামত করেছি। বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত করার প্রশ্নই আসে না। পুলিশ ও ডিবির প্রতিবেদন আমার পক্ষে আছে। প্রধান মো. মতিউর রহমানের সাথে তার সেলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।