Daily News BD Online

মামলা করেও ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী পরিবার



শাহাদাত হোসেন মানিকঃ  রাজধানীর পাশেই আশুলিয়া থানাধীন পাড়াগাঁয় ভ্যাগের কোন পরিবর্তন করতে পারেনি আনিসুর রহমান।নিজের ক্রয়কূত সম্পত্তি গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে।আশুলিয়া পাড়াগাঁয়ে জমি ক্রয় করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন এবং আদালতের দ্বারস্থ হতে হতে জীবনের মতো শিক্ষা উপভোগ করছেন।ভূমিদস্যুদের কবল থেকে নিজ জমি উদ্ধার করতে আদালতে মামলা করেও শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে পারছেন না আনিসুর রহমান।দীর্ঘদিন ধরে মমতাজ উদ্দিন গং আনিসুর রহমানের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল করে রেখেছেন।

 আদালতে করা মামলার তদন্তে সাভার মডেল থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মমতাজ উদ্দিন গং প্রতারণা মূলক ভাবে (বিডিএস) খতিয়ানে আনিসুর রহমানের নানা জুলমত আলীর সম্পত্তি নিজেদের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন। আনিসুর রহমান স্থানীয়ভাবে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, কিন্তু বিবাদীরা নোটিশ পেয়েও পরিষদে হাজির হননি।

আদালতের মামলা ও আইনি লড়াই: ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ সাভার নয়ব জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে,বাদী আনিসুর রহমান, মমতাজ উদ্দিন গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি ৩২৫/২০২৪ ধারা সমূহ ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৫০৬ দণ্ডবিধির অধীনে দায়ের করা হয়। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ মামলাজট কমানোর পরিবর্তে, ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ২৬ জুলাই ২০২৪ ইং আনিসুরের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন। মামলা নং ৫১২/২০২৪ ধারাসমূহ ১৪৩, ১৪৭, ৩২৩, ৩২২, ৩২৪, ৩৮৫ ও ১০৯ পেনাল কোডের অধীনে দায়ের করা হয়। জমি দখল নিয়ে উত্তেজনা ও হামলার।  এই মামলার ফাইনাল তদন্তে উঠে আসে, সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে রিপোর্ট দেন।

আনিসুর রহমানের জমি পুনরুদ্ধার করার প্রচেষ্টায় বিফল হয়ে, সি মমতাজ গং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে জমিতে আনিসুরের রোপণ করা গাছপালা বিনষ্ট করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আনিসুর রহমান বলেন, 'মমতাজ গংয়ের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। আমার নিজের জমিতে গেলে তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।আমি আতঙ্কিত: তারা যে কোনো সময় আমাকে হত্যা করতে পারে।" প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 আনিসুর রহমানের আইনজীবী মামলাটি নিয়ে বলেন, আমরা আদালতে আইনের ন্যায়ের আশায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। ভূমিদস্যুরা জোরপূর্বক জমি দখলে রেখে সমাজে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশু হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।স্থানীয়দের অভিযোগ, মমতাজ গং প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কেউ পায় না। একজন গ্রামবাসী বলেন, ওদের বিরুদ্ধে কথা বললেই নানান হুমকি দেয়া হয়, ভয়ে কেউ মুখ খোলে না।

এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও ইউপি সদস্যরা জানান, আমরা ন্যায়বিচারের স্বার্থে দুই পক্ষকে আলোচনায় বসতে বলেছি। কিন্তু মমতাজ গং কোন ভাবেই আলোচনায় আসতে চায় না। প্রশাসনকে অনুরোধ করব যাতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। আশুলিয়ার এই জমি নিয়ে বিরোধ এবং উত্তেজনার প্রেক্ষিতে আনিসুর রহমান বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। মমতাজ গংয়ের দখলদারিত্ব রোধে প্রশাসনের সহায়তা একান্ত প্রয়োজন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন