মোঃ হাবিব মিয়া,হাওরাঞ্চল (কিশোরগঞ্জ)
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার হাওর অঞ্চল এখন বোরো ধান রোপনের ভরা মৌসুম। কৃষি প্রধান এই অঞ্চলে শাক-সবজি, সরিষা ও ভুট্টার চাষ হলেও অর্থকরী ফসল হিসেবে বোরো ধানই একমাত্র ভরসা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকেই বোরো চাষের জন্য জমিতে আগাছা পরিস্কার করে প্রস্তুত করে রেখেছিল কৃষক। এখন শুরু করেছেন বোরো ধানের চারা রোপন।
নিকলী উপজেলার হাওর অধ্যুষিত নিকলী সদর, দামপাড়া, গুরুই, সিংপুর, কারপাশা, জারুইতলা ও ছাতিরচর হাওরে উপজেলার কৃষি অফিসের তথ্য মতে নিকলীতে প্রায় ১২ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের চারা লাগানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিকলী উপজেলার বড় হাওর,বরুলিয়া, জোয়ানশাহী,পাগলারচর,রবিরচর,পরা নেরচর ও কুর্শা এলাকার বিভিন্ন মাঠে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে কৃষি জমিতে বোরো চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শীতের সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে হাল-চাষ, মই টানা, সার প্রয়োগ, জমির আইল নির্মাণ, পানি সেচ, বীজতলা থেকে চারা তোলা ও রোপন চলছে।
নিকলী সদর ইউনিয়ন গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আজিবুর মিয়া জানান, আমার ১০ বিঘা জমির মধ্যে ৬ বিঘা রোপন করা হয়েছে। মাশকলাই জমি ছাড়া বাকি জমিতে চলছে আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান রোপন। মাশকলাই ঘরে তোলার পর পুরোদমে শুরু হবে বোরো ধান রোপনের কাজ। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতি বিঘা জমিতে ধান পাওয়া যাবে প্রায় ২৫ মণ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে নিকলীতে ৩৫ হাজার ৭০ একর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে চলছে চারা রোপণের কাজ। এ পর্যন্ত প্রায় ১৮হাজার একর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। এ এলাকায় সাধারণত ব্রিধান-২৯ এছাড়াও উন্নত ৫০. ৫৮, ৬৪, ৮১, ৮৪, ৮৯, ৯২, ৯৬ সহ জাতের ধান চাষ করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাখাওয়াত হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। ধানের দাম ভাল থাকায় বর্তমান সময়ে বোরো ধানের চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। সরকারি ভাবে এ মৌসুমে উপজেলার ২ হাজার ১শ কৃষককে ধান বীজ দেওয়া হয়েছে।