আব্দুল জলিল সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল চাষ একটি গুরত্বপুর্ন ভুমিকা রাখছে। বানিজ্যিক ভাবে কুল চাষ করে সাতক্ষীরা কৃষকরা ব্যাপক ভাবে লাভবান হচ্ছে।মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশের উপযোগী হওয়ায় চাষীরা কুল উৎপাদনে রীতিমত বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। অল্প সময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে এর আবাদ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও শত শত মেট্রিকটন কুল চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,এই জেলার মাটি কুল চাষের জন্য উপযোগী। মূলত ২০০০ সালের পর থেকে এ জেলায় বানিজ্যিক ভাবে কুল চাষ শুরু হয়। ফসলটি লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসল উৎপাদন কমিয়ে এ জেলার শত শত কৃষক কুল চাষ শুরু করেছে। বাউকুল,আপেলকুল, তাইওয়ানকুল, নারিকেলী, ঢাকা নাইনটিসহ বিভিন্ন জাতের কুল চাষ হয়ে থাকে এ জেলায়। চলতি বছর এ জেলায় ৮শত ৪১ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২শত মেট্রিকটনের বেশি। প্রতি বিঘায় সাড়ে ১৫ টন উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। কুল চাষে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি কুলের পাইকারী মূল্য ১শত৫০ থেকে ২শ টাকা । খুচরা ২শত৫০ থেকে ৩শ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হবে। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কুল চাষ। সাতক্ষীরার উৎপাদিত সব ধরনের কুলের দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ জেলার উৎপাদিত কুল জেলার চাহিদা মিটিয়ে৷ সিলেট খুলনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্রোগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়ে থাকে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরার কুল খেতে খুবই সুস্বাদু। এই জেলার মাটি কুল চাষের জন্য উপযোগী। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরায় কুল ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। জেলা চাহিদা মিটিয়ে কুল যাচ্ছে সারাদেশে। ফুল চাষে লাভ অনেক বেশি। ফুল চাষের পাশাপাশি একই জমিতে অন্য ফসল উৎপাদন করা যায়।
Tags
কর্পোরেট সংবাদ