পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেয় উত্তর আমেরিকার এই দেশটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক-ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সাথে সম্পর্কিত নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার জানিয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স এবং তিনটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মূলত “গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং তাদের সরবরাহের উপায়গুলোকে লক্ষ্য করে” এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনায় বেশ কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন এই পদক্ষেপ “দুর্ভাগ্যজনক এবং পক্ষপাতদুষ্ট”। এছাড়া “সামরিক অসামঞ্জস্যকে জোরদার করার লক্ষ্যে” আরোপ করা এই নিষেধাজ্ঞা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষতি করবে।
মূলত পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী ভারতের সাথে পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথার স্পষ্ট উল্লেখ করেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একথা বলেছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি তথ্যপত্রে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ-ভিত্তিক এনডিসি দেশটির দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক-মিসাইল প্রোগ্রাম এবং ক্ষেপণাস্ত্র-পরীক্ষার সরঞ্জামগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো পেতে চেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এনডিসি “পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তৈরি ও উন্নয়নের দায়িত্বে রয়েছে”, যার মধ্যে অত্যাধুনিক শাহীন সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
রয়টার্স বলছে, পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। আর এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রধারী সপ্তম দেশ হয়ে ওঠে দেশটি। বুলেটিনে পাকিস্তানের অস্ত্রাগারে আনুমানিক ১৭০টি ওয়ারহেড রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তথ্যপত্রে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সাথে আরোপিত অন্যান্য সংস্থাগুলো হলো— অ্যাফিলিয়েটস ইন্টারন্যাশনাল, আখতার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং রকসাইড এন্টারপ্রাইজ, যা করাচিতে অবস্থিত।
এটি বলেছে, সংস্থাগুলো এনডিসির সাথে বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়ার জন্য কাজ করেছে। মিলার বলেছেন, “উদ্বেগের বিস্তার এবং সংশ্লিষ্ট ক্রয় কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কাজ চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।”