রাজধানীর সন্নিকটে ঢাকা জেলার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া থানা এলাকা। জনগুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় সকল শ্রেনীর মানুষের বসবাস। ফলে এ এলাকায় অপরাধ প্রবণতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুন, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, জবরদখল, বোমা ফাটিয়ে ও গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টির পর হামলার ঘটনা ঘটছে অহরহ। একের পর এক লাশ উদ্ধারের ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু পুলিশ এসকল অপরাধ প্রবণতা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো তারাই জড়িয়ে পড়ছে ঘুষ বানিজ্য ও দুর্নীতিতে।
ক্ষমতা ব্যবহার করে আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আশরাফুল বিভিন্ন মামলার চার্জসীট মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। চার্জসীট থেকে নাম বাদ দেয়ার কথা বলেও নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারের পর পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আশরাফুল দ্বারা নির্যাতনের শিকার মোসাঃ শাহিনুর আক্তার জানান তার নির্যাতনের কথা। তিনি বলেন,আমি মোসাঃ শাহিনুর আক্তার পিতাঃ শাহাজউদ্দিন দেওয়ান, সাং- টঙ্গাবাড়ী, থানাঃ আগুলিয়া, জেলাঃ ঢাকা। এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদী এস আই আশরাফুল আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ি থানাঃ আগুলিয়া, জেলাঃ ঢাকা: +৮৮০১৬১১১৩৩১২৫ আমার বাড়িতে গত ০৫/১২/২০২৪ ইং তারিখে অনুমান রাত ১২:৫৭ মিনিটে আমার নিজ বাড়িতে আসে,মেইন গেট বন্ধ থাকায় গেটের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে,দরজা ভাঙ্গতে না পারায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে দেয়াল উপকিয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে এবং বাসার ভিতরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে।
পরে আমি ২য় তলা থেকে নিচ তলার দরজায় আসিয়া আমি জিজ্ঞাস করি কে? পুলিশ পরিচয় দিলে আমি দরজা খুলে দেই। ২য় তলা থেকে আসিযা দরজা খুলতে একটু দেড়ি হওয়ার কারণে আমাকে এস আই আশরাফুল অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। পরে আমি গালি-গালাজের বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমাকে বলে তোর স্বামী কোথায়। তোর স্বামী আমার সাথে ইতি পূর্বে ১ বার দেখা করেছে পরে আবার দেখা করার কথা ছিল, দেখা করে নাই কেন। তোর স্বামীর নামে মামলা আছে তোর স্বামীকে এরেস্ট করিয়া নিয়ে যাব। পরে আমি তাকে জিজ্ঞাস করি আপনি কি আমার স্বামীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সে বলে আমি তদন্তকারী কর্মকর্তা না হলেও তোর স্বামীকে উঠায়ে নিয়ে যাব।
পরে আমি বলি আমার স্বামী বাসায় নেই, বললে আমাকে মা-বাপ তুলিয়া বকা-বাদ্য করে এবং আমার বাসার দাড়োয়ান বকা দিতে নিষেধ করিলে তাকেও মারতে যায় এবং কলার ধরে টানা হেঁচড়া করে এবং দারোয়ানের মোবাইল নিয়ে যায়। গ্যারেজে ২ টা গাড়ী থাকে গাড়ী ২ টার নাম্বার প্লেট এবং গাড়ীর ছবি তুলে নিয়ে যায় এবং বলে গাড়ী ২ টা সিজ করবো।
পরে যাওয়ার সময় আমার দাড়োয়ানকে ডেকে বলে যায় তোর স্যারকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে ফাঁড়িতে দেখা করিতে বলবি। পুলিশ যাওয়ার পর আমার স্বামীকে আমি ফোন দেই।বাড়িতে এস আই আশরাফুল আসছিল তোমাকে খোজার জন্য এর সাথে কি হয়েছে। আমার স্বামী আমাকে জানায় ইতি পূর্বেও আমার স্বামীকে মামলার ভয় দেখিয়ে আমার স্বামীর ফুপাতো ভাইয়ের মাধ্যমে সাভার ড্যাফোডিল ইউনিভারসিটির পাশে ডাকিয়া নিয়ে ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা নেয়। আমার স্বামী একজন ব্যবসায়ী এবং এলাকার গণ্যমান্য সহজ সরল ব্যাক্তি এবং ব্যবসায়ী। সেখান থেকেও মাঝে মধ্যে টাকা নিতো। টাকা দিতে অস্বীকার করিলে সে আমার স্বামীর উপর মিথ্যা মামলা চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং বাজার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা লোকজনকে মামলা দিবে বলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন করে।
যে তারিখে মামলা দিয়েছে সেই তারিখের পূবেই আমার স্বামী বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করে এবং মামলার ঘটনা তারিখের অনেক পরে বাংলাদেশে ফিরে। বাংলাদেশে ফেরার ১ দিন পর থেকেই ঔ মামলার কথা শোনাইযা ও ভয় দেখাইয়া আগুলিয়া বাজার গরুর হাট থেকে আবার ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা আমার স্বামীর কাছ থেকে নেয়। তাতেও তার মন না ভরিলে সে গত ০৫/১২/২০২৪ ইং তারিখ রাতে আমার বাসায় এসে এই কার্জ কলাপ করে।
পরে আমি নিজ এলাকায় আরো খোজ খবর নিয়া জানতে পারি এলাকার সহজ সরল লোক ও ব্যাবসায়িদের ০৫ই আগষ্টের ২০২৪ ইং তারিখের ঘটনার ভয় দেখাইয়া অনেকের কাছ থেকে অনেক টাকা আত্মসাৎ করে। যার প্রমান স্বরুপ প্রত্যেকের নাম এবং মোবাইল নিচের পাতায় দেওয়া হলো। প্রযোজনে তদন্ত করে দেখতে পারেন। আমরা এলাকার সহজ স্বরল মানুষ বাংলাদেশ পুলিশের মতো একটি বাহিনীর কাছে থেকে এ ধরণের আচরণ ও আত্মসাৎ এর ঘটনায় এলাকার লোকজন এস আই আরাফুলের উপরে হতাশ ও ক্ষিপ্ত। এলাকার লোকজন সহ আমি এই কার্যকলাপের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই। এস আই আশরাফুল আর ও বলে উনি নাকি সার্কেল এসপির লোক ওনার হাত অনেক লম্বা।
প্রতিবেদক এস আই আশরাফুল এর সাথে মোঠো ফোনে কথা বললে এস আই আশরাফুল অস্বীকার করেন। কিন্তু তার কথা শুনে মনে হয় ক্ষমতা বলে সে এই কাজ করেছে।