সৌরভ মাহমুদ হারুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ ভারেল্লা পশ্চিমপাড়া ব্যবসায়ীর বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয় বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।(১৫ ডিসেম্বর ২০২৪) রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক।
ভুক্তভোগী মোঃ সোলেমান ও পরিবার সূত্রে জানায়,গত ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ১৫-১৬ জনের মুখোশধারী একটি ডাকাত দল ভারেল্লা পশ্চিমপাড়ার সোলেমানের ছেলে ও নিমসার বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু কাউছার ও সোহেল রানার বাড়ির ছাদের স্টিলের দরজা কেটে সিঁড়ি দিয়ে নেমে ঘরের দরজা ভেঙে রুমে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং হাত-পা বেঁধে লুটপাট করে নিয়ে যায়। ওই রাতে পরিবারে ৫জন নারী ও ৩ জন পুরুষ ছিলো।তাদের মধ্যে বেড়াতে আসা মেয়ে শাহনাজ ও তার শাশুড়ী প্রতিনিধিকে জানায়,১৫-১৬ জন একটি ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ছেনি,চাপাতি ও পিস্তল দেখিয়ে সকলকে জিম্মি করে একটি রুমে নিয়ে হাত-পা বেঁধে বন্দী করে রাখে।তাদের ঘরের স্টিলের আলমারী,ওয়াল শোকেস ভেঙে ১১ ভরি স্বর্ণালংকার, ৮ ভরি রুপা,নগদ ২০ লক্ষাধিক টাকা ও আইফোন সহ -৫টি মোবাইল এবং প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে যায়।বন্দীকে পরিবারের লোকজনকে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করে। পরিবারে থাকা সোলেমান ও স্ত্রী জানায়,ডাকাত বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথে তাদের মেয়ে জুমা আক্তার ইমুতে ছেলে কাউছারের কাছে ডাকাত হানা দেওয়ার খবরটি জানিয়ে দিলে কাউছার স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও ভারেল্লা শাহ ইসরাইল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক জাকির হোসেনের মোবাইলে কল দিয়ে মসজিদের মাইকে ডাকাত হানা দেয়ার বিষয়টি বলার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি অজ্ঞাত কারণে মাইকে ঘোষণা করে নাই। বাড়ির গৃহকর্তা সোলেমান ও তার ছেলে সোহেল রানা অভিযোগ করে বলেন ডাকাদের বিষয়টি মাইকে ঘোষণা করে নাই এবং ফজরের নামজে পড়তে আসা কোনো মুসল্লিদের জানায়নি।তারা আরো জানায়, ইমাম সাহেবেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ডাকাত দলের সদস্যকে চিহৃত করা যাবে।তারা প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করি।
বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন এবং ভোক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।