দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার বড় সুলতানপুর ১ নং নাফানগর ইউনিয়নের সংলগ্ন আবাসন গুচ্ছগ্রাম এলাকার বাসিন্দাদের মতে, একাধিক বিয়ে করে সর্বস্ব লুট করাই মোছাঃ আশা আক্তারের পেশা। চতুর্থ স্বামী মোঃ আঃ মজিদ খানের সঙ্গে প্রথমদিকে সংসার সুখেই চলছিল। তবে কিছুদিনের মধ্যে বাড়িতে গচ্ছিত নগদ চার লক্ষ পাঁচ হাজার ছয়শত টাকা, সাড়ে ছয় লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণ অলংকার, সতেরো হাজার পাঁচশত টাকা মূল্যের রুপা অলংকার, ছাপান্ন হাজার টাকা মূল্যের তিনটি মোবাইল সেট, সাত হাজার পাঁচশত টাকা মূল্যের একটি এলইডি টিভি এবং ছয় হাজার পাঁচশত টাকা মূল্যের একটি সেলাই মেশিনসহ সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যান মোছাঃ আশা আক্তার।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর শ্বশুর লাইসুর রহমান, শাশুড়ি লিপি আক্তার, বড় বোন রাশিদা আক্তার, দুলাভাই দেলোয়ার হোসেন, ছোট ভাই নয়ন মিয়া, মোঃ মালেক ওরফে চৌধুরী এবং সাবে মেম্বারনী মীরা কাশ্মীরীর কাছে বিষয়টি জানালে মজিদ নিশ্চিত হন, এই ঘটনার সঙ্গে তারাও জড়িত। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এর আগেও তিনজন স্বামীকে একই কায়দায় সর্বস্ব লুট করে প্রতারণা করেছেন তারা।
চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মোঃ আঃ মজিদ খান হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, বোচাগঞ্জ থানার পুলিশ লাইসুর রহমান, লিপি আক্তার এবং মোছাঃ আশা আক্তারকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর কোর্টে প্রেরণ করেছেন। মামলা নং ৪, তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২৩; কোর্ট জি আর নং ১২৯/২৩। জামিনে মুক্ত হয়ে মোছাঃ আশা আক্তার দিনাজপুর শহরের মিশন রোডের একটি ভাড়াটিয়া বাসায় ফিরে আসেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মোঃ আঃ মজিদ খান অনুপস্থিত থাকার সুযোগে মোছাঃ আশা আক্তার দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় দিনাজপুর কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়, যার নং ২১৯৫, তারিখ ৩১/০১/২০২৪। পরবর্তীতে ২ মাস ১৩ দিন পর বোচাগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে মোছাঃ আশা আক্তার পুনরায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে দিনাজপুর জেল কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি ৯ দিন কারাভোগ করেন। এরপর মোঃ আঃ মজিদ খান তার দুই কন্যা সন্তানকে ফিরে পান।
অসুস্থার অভিনয় করে দুই কন্যা সন্তানের টানে আশা আক্তার ৩১/০৫/২০২৪ ইং তারিখে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে সেতাবগঞ্জ বড় বাজার চৌরাস্তায় আসেন পরে মোঃ আঃ মজিদ খান বোচাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরে আবারো স্বামীর নিজ বাড়িতে ফিরে আসে রাত ১১:৩০ । ৫ মাস ১৪ দিন থাকার পর গত ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে মোছাঃ আশা আক্তার আবারও পালিয়ে যান। এবার তিনি সঙ্গে নিয়ে যান দুটি মোবাইল সেট (মূল্য ৫৬ হাজার টাকা), নগদ ৫৬ হাজার ৫ শত টাকা এবং সাড়ে ৪ ভরি রুপা অলংকার (মূল্য ৯ হাজার টাকা)। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Tags
দিনাজপুর