অবৈধ সংযোগ বানিজ্য
নিজেস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির এনওসিএস এর উপ—বিভাগীয় প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন গং এর বিরুদ্ধে এলকায় বিভিন্ন আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে ব্যাটারী চালিত অটোর গ্যারেজে অবৈধ সংযোগ প্রদান করে প্রথমে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। অন্য দিকে একই গ্যারেজে অবৈদ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেও নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিস্বস্ত সূত্রে জানা যায় তার সাথে জড়িত (১) মোঃ সানোয়ার হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী, (২) আকবর হোসেন, (৩) মোঃ মহসীন, লাইন ম্যান মেট (৪) মোবারক হোসেন, মিটার পাঠক, (৫) সাহাদাত হোসেন, লাইন ম্যান, (৬) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এদের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরী কের সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির আওতাধীন অসংখ্যা গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা কেউ কিছু বলতে গেলে তিনি ডিপিডিসির এমডির লোক ও বিগত আওয়ামী স্বৈর শাষকের প্রভাবশালী এম.পি মির্জা আজম এর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে অফিসার ও কর্মকর্তাদের সাথে অসৎ আচরন এবং জোর পূর্ব ফাইল স্বাক্ষর করে নেন। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলেও বদলী হওয়ার ভয়ে সবাই নিরবতা পালন করে আসছেন। গত ০৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের কে ম্যানেজ করে বর্তমানে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি দক্ষিন পাড়া এলকার স্থানীয় বাসিন্ধা হাবিব মিয়া জানান তার একটি সাত তলা ভবনের পূর্বে ০২ টি মিটার ছিল। বর্তমানে আরো এগারোটি মিটারের আবেদন করলে বাড়ি পরিদর্শনে আসে উক্ত বেলায়েত হোসেন, পরিদর্শনের পর তাকে একটি ছাড় পত্র দেওয়া হয়, যাতে উল্লেখ্য ছিল এইচটি সংযোগ নেওয়ার জন্য, উক্ত ভবনের মালিক হাবিব মিয়া, বেলায়েত হোসেনের অফিসে গেলে তার কাছ থেকে ০৬ লক্ষ টাকা দাবি করে, এই বিষয়ে অফিসের প্রকৌশলীর নিকট অবগত করলে সে অপারগত পোষন করেন। পরবর্তীতে ভবন মালিক নিরুপায় হয়ে ০৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে তার মিটার সংযোগ চালু করেন। অন্য এক ভুক্তভোগী মিজমিজির বাসিন্দা ১। সিনহা পোস্টক এর কাছ থেকে একই কাজের জন্য ০৪ লক্ষ টাকা। ২। মিজমিজি টি.সি রোডের লোকমান টাওয়ারের কাছ থেকে ০৫ লক্ষ টাকা। ০৩। মিজমিজি মাদ্রাসা রোড এলাকার খাদিজা খাতুন এর কাছ থেকে ০৫ লক্ষ টাকা সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরোও অসংখ্য গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন প্রায় কোটি টাকা। অভিযোগ পাওয়া গেছে যে, উপকেন্দ্র স্থাপনা তৈরী না করে ১২০ কিলো ওয়াট বা তার বেশী লোড প্রত্যয়নের জায়গায় ১০/১৫ লক্ষ ঘুষ নিয়ে ৭০/৭৫ কিলো ওয়াট নির্বাহী প্রকৌশলীকে হুমকির মাধ্যমে অনুমোদন করিয়ে নেন। যার ফলে ডিপিডিসির বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকা থেকে। স্থানীয় সূত্রে পাওয়া এক সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মৌচাক ফিডারের আওতায় উম্মে সুমাইয়া নামে ০২টি ৪৫ কিলো ওয়াট করে ক্ষুদ্র শীল্প কারখানায় সংযোগ প্রদান করেছেন যার গ্রাহক নং— ১। (৩৮১৯৮৯৩১) ২। (৩৮১৮১৩১৬) প্রতিটি মিটারে ১টিতে ১৪৫ কিলো ওয়াট, এবং অপরটিতে ১০২ কিলো ওয়াট এই দুটি সংযোগকে উচ্চ চাপ গ্রাহকে রূপান্তর করার কথা বলে ০৭ লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। কিন্তু উপকেন্দ্র স্থাপন না করে গ্রহকদেরকে বিল প্রদান করে যাচ্ছেন। ফলে ডিপিডিসির টেক্স ও কর সহ ট্রান্সফর্মা ভাড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই ভাবে অহরহ অবৈধ সংযোগ ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে দূর্নীতি করে প্রতি মাসে কোটি কেটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন গং। এই রূপ অপকর্ম দূর্নীতির মাধ্যমে ডিপিডিসির অর্থনৈতিক ক্ষতি সহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন ডিপিডিসির গ্রাহকরা। উক্ত বেলায়েত গং এর বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির সকল গ্রাহক বৃন্দ।