মো: ইনাম উল্লা খান :
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৬৭টি নিবন্ধিত চা বাগান ও টি-এস্টেট আছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগেই রয়েছে ১২৯টি বাগান ও টি-এস্টেট। বাংলাদেশে দুই লাখ ৮০ হাজার একর জমির নিবন্ধিত বাগানে চা চাষ করা হয়।
সারাদেশে চা বাগান গুলোতে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা সংস্কৃতির প্রায় ৯৮টি জাতিগুষ্ঠী বসবাস করে।
২০২২ সালের বৈশ্বিক মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের (এমআইসিএল) জরিপ অনুযায়ী হবিগঞ্জ চা বাগান গুলোতে শিশুশ্রমের সঙ্গে জড়িত ২৯.৮ শতাংশ চা শ্রমিক শিশু মৌলভীবাজারে ১৫.৬ শতাংশ এবং সিলেটের ১৯.৩ শতাংশ।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চা শ্রমিকেরা এগিয়ে যাচ্ছে তাদের অতীতের অবস্থা বর্তমানের মত ছিল না।
জাতীয়করণের পূর্বে শ্রীমঙ্গলের চা বাগানের বিদ্যালয় গুলোয় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০%
বর্তমানে ঝরে পড়ার সংখ্যা ২%
শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বর্তমানে চা-শ্রমিকের সন্তানের সংখ্যা ৭৪২৯ জন যারা চা বাগানের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে।
শহরের সাথে পাল্লা দিয়ে চা বাগানের বিদ্যালয়গুলোতেও এখন অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে দেখা যায় চা বাগান গুলোতে যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত সেখানে দেখা যায় শহরের থেকেও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
এর একটা বাস্তবিক কারণ হচ্ছে চা বাগান গুলোতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম এর তুলনায় শহরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অনেক কেজি স্কুল এবং মাদ্রাসা দেখা যায়।
চা বাগান গুলোর বিদ্যালয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হচ্ছে সনাতন ধর্মের অনুসারী তাই ওরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই ভর্তি হয়।
চা শ্রমিকরা স্বল্প মজুরি নিয়েই তাঁদের দিনাতিপাত করছে এবং তাঁদের জীবন যাত্রার পাশাপাশি শিশুদেরকে লেখাপড়া শিখাচ্ছে এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে।
যদিও প্রতিটি চা বাগানে বিদ্যালয় নেই কিন্তু বেশিরভাগ চা বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং ১০০ ভাগ উপবৃত্তিও প্রদান করা হয় এই উপবৃত্তির অর্থ ওরা শিক্ষা উপকরণ এর জন্য কাজে লাগায়।
এখনো কিছু বাগানে দেখা যায় শিশু শ্রম রয়েছে কিন্তু সেটা তুলনামূলক কম। তবে বেশির ভাগ চা শ্রমিকেরা ঋণগ্রস্ত। তাঁদের খাদ্যবস্ত্র বাসস্থানের এখনো যথেষ্ট অভাব রয়েছে।তাদের কোন কোটা সুবিধা নেই তাঁদের দাবি হচ্ছে তাঁদেরকে কোটা সুবিধা দেওয়া হোক যাতে করে তাঁরা সমাজ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করতে পারে।
সহকারী শিক্ষক
ষাড়েরগজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার :
Tags
অন্যান্য