সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ
আজ ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, বিশিষ্ট আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন লাভলু তার জন্মদিনটি উদযাপন করেছেন মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে। এই বছর শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার শোকের কারণে তিনি ব্যক্তিগতভাবে জন্মদিন উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে, তার প্রিয় সামাজিক সংগঠন “রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ আমরা”-এর সদস্যরা তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে একটি বিশেষ উদ্যোগ নেন। তারা শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করেন এবং তার কাছে অনুরোধ করেন এই মানবিক উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে।
এডভোকেট মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন লাভলু সীতাকুণ্ড পৌরসভায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গরিব মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “জীবনের বিশেষ দিনগুলো মানুষের কল্যাণে নিবেদন করাই আমার নীতি। সমাজের সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানাই, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং তাদের কষ্ট লাঘবে সহযোগিতা করুন।”
এডভোকেট লাভলু আরও জানান, গত বছর তার জন্মদিন উপলক্ষে এই সংগঠন একই ধরনের মানবিক উদ্যোগ নিয়েছিল। এ বছর শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ায় অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অতঃপর, “রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ আমরা” পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতি বছরের মতো এবারও প্রায় শতাধিক অসহায় পরিবারকে শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। ১২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ডের কুমিরা, দারোগারহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় কম্বল বিতরণ করা হয়। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রাজু আহমেদ, উপদেষ্টা এডভোকেট মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন লাভলু, মোহাম্মদ সোহেল, এডমিন মোহাম্মদ আল আমিন, রক্তদাতা ও সমাজকর্মী মো. নুরুদ্দিন, আনোয়ার হোসেন হৃদয়, মো. জসিম, আবু তাহের সহ বিভিন্ন সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষী সদস্যরা। আর্থিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রবাসী ভাই ও বন্ধুরা।
অনুষ্ঠানে একটি হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটে। কম্বল বিতরণকালে এক মহিলা রক্তক্ষরণে ভুগছিলেন এবং তার জন্য পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল। এডভোকেট মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন লাভলু তৎক্ষণাৎ রক্তদান করতে এগিয়ে আসেন এবং তার রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ(O+) হওয়ায় তিনি রক্ত দেন। এই কার্যক্রমটি তার মানবিক দৃষ্টান্ত হয়ে রয়ে গেছে, যেখানে তিনি একজন মায়ের জীবন বাঁচানোর মাধ্যমে শুধু শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, বরং অন্য একটি নবজাতক শিশুর মাকেও জীবন বাঁচানোর সুযোগ করে দিয়েছেন।
এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে এবং এটি একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আগামীতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আয়োজকরা।