রাঙামাটি: প্রকৃতির বহু রূপের বৈচিত্র্যময় পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। গত দু’দিনে রাঙামাটি শহর ও এ জেলার আরেক পর্যটন নগরী সাজেক মিলে ১৬ হাজারের মতো পর্যটকের সমাগম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেছে। এমনিতেই রাঙামাটি প্রকৃতির রঙে রঙিন থাকে। এরমধ্যে শীত ঝেঁকে বসেছে। অর্থাৎ চলছে শীতের মৌসুম। আবার বছরের শেষ সময় ডিসেম্বর মাস। লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
নগরীর এক ঘেঁয়েমি জীবনের অবসাদ কাটাতে জেলার বাইরের পর্যটকরা স্বস্তির নিশ্বাস নিতে প্রকৃতির অনিন্দ্য শহর খ্যাত রাঙামাটিতে পরিবার নিয়ে ছুটে আসছেন। পর্যটকরা আসায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর যেমন বেজায় খুশি তেমনি ব্যস্ত সময় পার সময় করছেন তারা।
জেলার শহরের অন্যতম পর্যটন স্পট ঝুলন্ত সেতু, পলওয়ের পার্ক, সুবলং ঝরনা, কাপ্তাই-রাঙামাটি সংযোগ সড়ক এবং প্রকৃতির আরেক রূপ সাজেকের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকরা সময় কাটাচ্ছেন। ঢাকার রামপুরা থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, অনেক দিন পর রাঙামাটিতে বেড়াতে আসতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। বিয়ের আগে অনেকবার এলেও এবার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রিয় জায়গায় বেড়াতে এসে আরও ভালো লাগছে।
ঢাকার নাজনীন নাহার বলেন, এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। এখানে বেড়ানোর পর খাগড়াছড়ি ও সাজেকে যাব। সাজেক কটেজ মলিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, গতকাল ও আজ সাজেকে প্রায় সাত হাজারের মতো পর্যটক এসেছে। বেশিরভাগ কটেজ এখনো বুকিং রয়েছে।
পাহাড়ের বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে বেশ কয়েক মাস তাদের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, গত সপ্তাহ থেকে রাঙামাটিতে ভালো পর্যটক আসতে শুরু করে। গত দু’দিনে এখানে আট হাজারের অধিক পর্যটক সমাগম হয়েছে। বর্তমানে হোটেলের ৮০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। পরিস্থিতি ভালো থাকলে ব্যবসা ভালো হবে বলে আশাবাদী তিনি।