Daily News BD Online

তীব্র গ্যাস সংকট রাজধানীজুড়ে

 


এস এম রাসেল :

প্রায়ই গ্যাস থাকছে না। আমরা বড়রা খাবার না খেয়ে অনেক সময় কষ্ট করে থাকতে পারলেও ঘরের বাচ্চারা তা পারছে না। বাধ্য হয়ে তাদের বাইরের খাবার খাওয়াতে হচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বাচ্চাদের পেটের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু কী করবো, এ ছাড়া তো আর উপায়ও নেই। কথাগুলো বলছিলেন কাঁঠালবাগান এলাকার গৃহবধূ সানজিদা ইয়াসমিন। একই সুর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবিহা সুলতানার মুখেও।


তিনি বলেন, আমরা যারা গ্রিনরোডে থাকি, তাদের কাছে গ্যাস না থাকাটা এখন অনেকটা নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এ কারণে অতিরিক্ত সিলিন্ডার কিনে রেখেছি। গ্যাস না থাকলেই সেটা ব্যবহার করি। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সৈকত আহমেদ। তিনি থাকেন কল্যাণপুর এলাকায়।


হতাশাজড়িত কণ্ঠে এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রায়ই গ্যাস থাকছে না। কতক্ষণ হোটেল থেকে কিনে খাওয়া যায়? সে কারণে ইলেকট্রিক কুকার কিনেছি। গ্যাসের সংকট দেখা দিলেই তাতে রান্না করছি। এতে অবশ্য বিদ্যুৎ বিল কিছুটা হলেও বেশি আসে। কিন্তু কিছু করার নেই।


মোহাম্মদপুরে বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন রোজিনা আক্তার। তিনি বলেন, সকালে বাসা-বাড়িতে কাজ করে এসে স্বামী-সন্তানের জন্য দুপুরের খাবার প্রস্তুত করতে সব আয়োজন করেছি। কিন্তু গ্যাস সংকটে চুলা জ্বালাতে পারছি না। একটু পরেই মেয়ে স্কুল থেকে আসবে। এ অবস্থায় বাইরে থেকে খাবার কিনে আনা ছাড়া আর উপায় নেই। টানাটানির সংসারে এটা রীতিমতো বাড়তি এক বিড়ম্বনা।


মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোডসহ বেশিরভাগ এলাকা ঘুরে ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

শীতকালে গ্যাসের চাপ একটু কম থাকে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলেন, দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে। এ ছাড়া সম্প্রতি এলএনজি টার্মিনাল মেরামতের কারণে গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। সে কারণে সংকট তৈরি হয়। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন না বাড়ালে ভবিষ্যতে গ্যাস সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন