আওয়ামী লীগ সরকারের নজিরবিহীন দুর্নীতি এবং স্বজন প্রীতির ঘটনা নথিভুক্ত হওয়া উচিত এবং তা গবেষণার বিষয় হতে পারে বলে উল্লেখ করেন ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস।সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর সম্মেলনে একটি সংলাপে এই মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আরো জানান,বাংলাদেশের মানুষ যদি স্বল্পমেয়াদী সংস্কার চায় তাহলে নির্বাচন হবে এ বছর শেষে, আর দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চাইলে নির্বাচন হবে তারও আরো ছয় মাস পর।
সংলাপে ড.মুহাম্মদ উনূস বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপকর্মের কথা তুলে ধরেন।বিগত সরকারের দমন পীড়ন নিয়েও কথা বলেন তিনি।বলেন,তিনি নিজেও এই সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন।জেলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি।
এরপর সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এবং জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে তিনি কথা বলেন। ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ছিল সমাজের সামগ্রিক পরিবর্তন। তিনি আরো জানান,সংস্কার করা হবে কমিশনের রিপোর্ট এর ভিত্তিতে।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম নিয়ে নিজের আশাব্যক্ত করেন ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস।ভোট দানের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ করার পক্ষে তিনি।বলেন,পরিপক্ষতার ক্ষেত্রে ১৮ এবং ১৬ খুব একটা পার্থক্য রাখেনা।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্ঠা বলেন,বর্তমান প্রজন্ম উদ্যোক্তাদের এবং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সেই পথেই পরিচালিত হওয়া উচিত।ড. ইউনূসের মতে, সঠিক সংস্কার এবং তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।