ফাহিম ফরহাদ, গাজীপুরঃ
এই ইজতেমায় একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। পরে দুই পক্ষ দায়িত্বশীল পরিচয় দিয়েছে। একটি পক্ষ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করবেন। বাকী অংশের যারা তারা ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত করবেন। কোনো ধরনের দ্বন্দ বা মতানৈক্য নাই। দুই পক্ষই শান্তি পূর্ণ ভাবে ইজতেমা পালন করবেন।
বুধবার (২৯জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম আসন্ন ৫৮তম টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে
পুলিশ কন্ট্রোল রুম বিদেশি মেহমানদের প্রবেশ গেটের ভিতরে এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের
এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি এর আগে ২০০৬ সালে যখন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলাম তখন যে ব্যবস্থা ছিলো তার চেয়ে এখন প্রযুক্তি অনেক বেশি উন্নততর। নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক বেশি সু-দৃঢ় । তখনও নিরাপত্তার কাজে র্যাবের অংশগ্রহন ছিলো, এখনো র্যাবের অংশগ্রহন আছে। আমরা যে কোনা ধরনের নাশকতা-অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলা করতে পারবো।
জিএমপি কমিশনারের উদ্ধৃতি টেনে তিনি আরোও বলেন, এখনো অনেক বৈধ-অবৈধ ও লুট হওয়া অস্ত্র বাইরে আছে। পুরোপুরি সেগুলো এখনো উদ্ধার করতে পারিনি। সমাজের মধ্যে একটা দ্বিধা দ্বন্দ্ব আছে, সেই জন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো সুদৃঢ় করেছি। এবার আমরা আমাদের ফিল্ড অফিসারদের একটা প্রিন্টেড গাইডলাইন বুক দিয়েছি। এর আগে আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে শুধু একটা ব্রিফিং দিয়ে দিতাম।
শুরায়ে নেজামের মুরব্বী মাওলানা মাহফুজের উদ্ধৃতি দিয়ে সম্মেলনে তিনি আরোও বলেন, তাদের ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। ১০ হাজার মানুষ চাকুরিজিবি না, তাদের একটা ইমানী দায়িত্ব রয়েছে। এই জন্য তাদের উপর অনেক বেশি ভরসা রাখি।
তিনি বলেন, পুরো জায়গাটা প্রথম পক্ষ বুঝিয়ে দিবেন। পরে আমরা একটু সময় নিয়েছি। পরে আমরা অপর অংশকে আমন্ত্রণ জানাবো। এই জন্যই মাঝখানে স্পেইসটা রেখেছি। মন্ত্রণালয় দুই পক্ষকে সাথে নিয়ে এটা করেছে। এ বিষয়ে কেও দ্বিমত করেননি। আপাতত দুই পক্ষ একমত হয়েছে। এবার এটা সুন্দর ভাবে করি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসক, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস সেনাবাহিনী ও র্যাবের সাথে সমন্বয় মিটিং করেছি। মিটিং করে ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করেছি। কোথাও কোন অঘটন ঘটলে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারি সেজন্য ড্রোন থেকে মনিটরিং করবো। আমরা পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা স্তর সাজিয়েছি।
এখানে ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে এবং এগুলো থেকে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হবে। পুরো মাঠটি ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে। প্রতিটি জায়গা ও প্রতিটি ইঞ্চি নজরধারীতে থাকবে। ৩৫টি ছাদে আমরা ডিউটি রাখবো। ফুটপাত দখল যেন না করতে পারে সেজন্য আমাদের মোবাইল পার্টি থাকবে ২০টি।
যেগুলোর মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। ময়দানের ভেতরে যেন কোন দুষ্কৃতিকারী না ঢুকতে পারে সেজন্য ময়দানের চারপাশে আমাদের ২০টি চেকপোস্ট থাকবে। এছারা ময়দানের ভেতরে ৬০০০ পোশাক ধারী পুলিশ সদস্য রেখেছি।
Tags
গাজীপুর