Daily News BD Online

নাগরপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, এলাকাবাসির বিক্ষোভ



নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের খাষ শাহ্জানী এমএ করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও তার দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রতিবাদ মিছিল বের করে শাহ্জানী বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয়ের মাঠে এক সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, ভারড়া ইউনিয়ন (পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি মো. মজিবুর তালুকদার, সাধারন সম্পাদক সাবেক মেম্বার মো. মজিবুর রহমান ও সহ-সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান জাহাঙ্গীর সরকার প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, খাষ শাহ্জানী এমএ করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম একজন দুর্নীতিবাজ স্বেচ্ছাচারি লোক। বিদ্যালয়ে তার সকল অনিয়ম দুর্নীতি আড়াল করতে সে তার মনোনিত ব্যাক্তিদের নিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন। তিনি অত্যান্ত সুকৌশলে গোপনীয় ভাবে ৩ জনের নাম প্রস্তাব করে অনুমোদনের জন্য পাঠান। আমরা এলাকাবাসী এ বিষয়টি জানার জন্য প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেমের অফিসে যাই। প্রধান শিক্ষক তার অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার জন্য আমাদের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। 

জানা যায়, ৫ আগষ্টের পর সারাদেশে সরকারি প্রজ্ঞাপণ জারির মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা কমিটি বাতিল ঘোষনা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমএ করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন করে এডহক কমিটি গঠণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম। প্রধান শিক্ষক কোন প্রকার মিটিং না করে নিজের মনোনিত ব্যক্তিদের দিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধি পাশ করান। পরে শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধি এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কারো সাথেই কোন প্রকার পরামর্শ না করে সভাপতি পদের জন্য তার পছন্দের ৩ জন ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেন। কমিটির বিষয়টি জানা জানি হলে এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ২১ জানুয়ারি দুপুরে কমিটির বিষয়টি প্রকাশ পেলে কতিপয় এলাকাবাসি প্রধান শিক্ষকের রুমে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের দস্তাদস্তি হয়। 

প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, তারা আমার অফিসে এসে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। আমি তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেবার পরেও তারা আমার স্কুলের নিরাপত্তাকর্মী কে বের করে দেয় এবং অফিসের দরজা ও সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে আমাকে মারধর করে। আমি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে সভাপতি পদের জন্য ৩ জনের নাম প্রস্তাব করে পাঠিয়েছি। নিরাপত্তাকর্মী ইসমাইল হোসেন বলেন, কথা কাটাকাটির সময় আমাকে রুম থেকে বের করে দেয়া হয়। স্যার কে মারধর করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি তা দেখেননি বলে জানান। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন