নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি গ্রামে বিয়ের দাবিতে ফাঁসির রশি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছেন এক কিশোরী। সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেমিক সােহেল উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রেমিক সোহেল উদ্দিন (২৫) হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিরবিরি গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরী সীমা আক্তার পারু (১৬) একই গ্ৰামের বাসিন্দা শামছুদ্দিনের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদরাসায় যাওয়া আসার পথে কিশোরী পারুকে দেখে সোহেল। প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয় কিশোরীকে। রাজি না হওয়ায় হুমকিসহ শুরু হয় উত্যক্ত করা। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। কয়েক মাসের মধ্যে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্কও হয়।
এসময় সোহেল অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে নেন এবং ব্ল্যাকমেইল করে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন কিশোরী। এ সময় ভ্রূণ নষ্ট করতে চাপ সৃষ্টি করেন সোহেল। রাজি না হওয়ায় সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেন সোহেল।
ভুক্তভোগী কিশোরী আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, সোহেলের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পেটের সন্তান নষ্ট করতে সোহেল আমাকে মেডিসিন দেয়। মেডিসিন না খাওয়ায় সে আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে বিয়ে করবে না বলেও জানিয়ে দেয়। এখন যদি সে আমাকে বিয়ে না করে আমি এই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবো।
অভিযুক্ত সোহেল সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। বিয়ের বিষয়ে কথা চলছে।
মো. নুর নবী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মেয়েটি দুই দিন ধরে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন। মেয়েটি আসার খবর পেয়ে পরিবারের সবাই ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। মেয়ের দাবি বিয়ে করতে রাজি হওয়া বা সম্পর্ক মেনে নেওয়া। না হয় সে আত্মহত্যা করবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। সমাধান না হলে ভুক্তভোগী ও তার পরিরবার আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। থানার একটি দল ঐ এলাকায় গিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।