মোঃ নুর নবী জনিঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প মেলায় মাসব্যাপী লোকজ উৎসব জমে উঠেছে। গতকাল শনিবার ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় ছিলো লোক ও কারুশিল্প মেলায়।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ মেলায় হারিয়ে যাওয়া লোকজ ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছর এ উৎসবের আয়োজন করে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।
মাসব্যাপী লোকজ উৎসবে রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো নারী-পুরুষ-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীরা ছুটে আসে।
উপভোগ করেন কারুশিল্পীদের কারুপণ্য তৈরি ও প্রদর্শনী, পাশাপাশি তাদের পছন্দের কারুপণ্য ক্রয় করে নিতেও দেখা যায়। অনেকেই উপভোগ করেছে নাগরদোলা, পুতুলনাচ ও বায়োস্কোপ প্রদর্শনী।
এবারের মেলায় বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬৪ জন কারুশিল্পী অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি, চট্টগ্রামের নকশিপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, নকশি হাতপাখা, মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি, মানিকগঞ্জের তামা-কাঁসা-পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা শিল্প, সোনারগাঁয়ের পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পটচিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্পসহ এবার মোট ১০০টি স্টল রয়েছে।
গ্রাম বাংলার হারিয়ে যেতে বসা হাডুডু, কানা মাছি, ঘুড়ি উড়ানো, বউ সাজানো, গায়ে হলুদ, কাবাডি, লোক কারুশিল্প প্রর্দশনী, লোক জীবন প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বায়াস্কোপ, নাগরদোলা ও গ্রামীন খেলার আয়োজন থাকে।
মাসব্যাপী লোকজ উৎসব প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত হয়ে চলবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। এমেলায় প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে ৬টা লোক সংগীত এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দলীয় লোক সংগীত ও লোকনৃত্যের আয়োজন করা হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, লোকজ উৎসবে ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের সংখ্যা এমনিতেই বেশি থাকে। আজ ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। আশা করছি সামনে আরও দর্শনার্থীর সংখ্যা আরোও বাড়বে।