রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ স্কয়ার হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ইনসেপ্টা কোম্পানীর সাড়ে ৪হাজার টাকা মূল্যের এস টি কে ইনজেকশানের দাম ধরা হয়েছে ১৫হাজার টাকা। এমন অভিযোগ করেছেন মোঃ মমিন হোসেন নামের এক রোগীর স্ত্রী আকলিমা বেগম। শুধু তাই নয় বেসরকারি ওই চিকিৎসা কেন্দ্রটিতে ৩৬ ঘন্টায় কেবিন ভাড়া বাবদ সাড়ে ৭হাজার টাকা এবং অক্সিজেন বাবদ ধরা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ৩৬ ঘন্টায় ৬০ হাজার ১৮৭ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। হসপিটাল কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে সৃষ্ট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে।
এব্যাপারে আকলিমা জানান, উপজেলার পূর্বভাদুর কুড়ি ভূঁইয়া বাড়ি নিবাসী তার স্বামী মোঃ মমিন হোসেন গত ৬ জানুয়ারী বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় জনৈক মহিলা তাসলিমা আক্তার নিজেকে রামগঞ্জ স্কয়ার হসপিটালের চেয়ারম্যান হাসেম পাটোয়ারীর আত্মীয় দাবি করে স্বল্প খরছে চিকিৎসা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে তার স্বামী মোঃ মমিন হোসেনকে ওইদিন দিবাগত ভোর ৩টায় শহরস্থ স্কয়ার হসপিটালে নিয়ে আসে। এরপর ওই হসপিটালের ৩১১নং কেবিনে ডাঃ মোঃ বিল্লাল হোসেনের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পরদিন ৭ জানুয়ারী রোগী সুস্থতাবোধ করলে বিকেল ৩টায় হসপিটাল কতৃপক্ষ ৬০ হাজার ১৮৭ টাকার বিল ধরিয়ে রোগী রিলিজ করে দেয়। এসময় বিল নিয়ে কতৃপক্ষের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হলে রোগীর আত্মীয়-স্বজন বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। পরে এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হসপিটালের চেয়ারম্যান হাসেম পাটোয়ারী জানান, যে বিল ধরা হয়েছে এনিয়ে রোগীর পক্ষ থেকে আবদার করা হলে আমি ডিসকাউন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করতাম। এসময় অতিরিক্ত বিল ধরার বিষয়ে তিনি আরো জানান, এস টি কে ইনজেকশানটি সংগ্রহ করা দূরহ ব্যাপার। তাছাড়া পুশ করাও কঠিন। তাই অতিরিক্ত ১০হাজার টাকা ধরা হয়েছে। তিনি জানান এমন বিল রামগঞ্জের সকল হাসপাতালেই চলমান রয়েছে।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রোগীর পক্ষ থেকে বিল পেমেন্ট করা হয়নি।