শীত মৌসুমের অন্যতম সবজি ফুলকপি। শীতকালীন রান্নায় আলাদা স্বাদ জোগায় ফুলকপির তরকারি। শীতের শুরুতে এক পিস ফুলকপি ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও ভরা মৌসুমে তা বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন এক টাকা থেকে শুরু করে চার-পাঁচ টাকা পর্যন্ত। এমনই কপির হাট রয়েছে নওগাঁর ডাক্তারের মোড় এলাকার হাইওয়ে রাস্তার পাশে। নওগাঁ সদর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ডাক্তারের মোড় একালায় ফজরের আজানের সময় হাটটি শুরু হয়, যা চলে সকাল ৮টা পর্যন্ত। কৃষক সরাসরি খেত থেকে ফুলকপি নিয়ে আসে, যা স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ক্রেতারা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুচরা বাজারে বিক্রি করে থাকেন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোরবেলায় হাটটিতে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের ফুলকপিগুলো নানানভাবে সাজিয়ে রেখেছেন। আর পাইকাররা তাদের চাহিদা অনুযায়ী পছন্দমতো কপি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
ভরা মৌসুমে ফুলকপির উৎপাদন বেশি হওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে চাষিরা বঞ্চিত হচ্ছে এমন অভিযোগ তাদের। প্রতি পিস ফুলকপি উৎপাদন খরচ পাঁচ-ছয় টাকা, কিন্তু কৃষক বিক্রি করছেন এক টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চার-পাঁচ টাকা। এ দামে কৃষক লাভবান তো দূরের কথা, খরচের টাকা ওঠাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, অনেক চাষি রয়েছে যারা ফুলকপির ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ফসলের মাঠেই তা নষ্ট করে ফেলছেন। এ ছাড়াও তারা ৫০ পয়সা ও এক টাকায় গুরু-ছাগলের খাবারের জন্য দিয়ে দিচ্ছেন।
কৃষকদের দাবি, বেশি দামে নয় বা বেশি লাভে নয় অন্তত তাদের ফুলকপি উৎপাদনের খরচটা যেন উঠে আসে, এমন ব্যবস্থা সংশ্লিষ্টরা করে দেবেন। নতুবা ফুলকপি উৎপাদনের দিকে তারা আর ঝুঁকবে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে, যা থেকে প্রায় ৬ হাজার ২০০ টন ফুলকপি উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে।