ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল সকাল রোদের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। এতে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এর মধ্যে আগামীকাল সোমবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে জেলার আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস। যা দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোটাভাইরাসজনিত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে ২০০-৩০০ বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া প্রতিদিন ৩০০-৪০০ শিশু রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রকিব সাদী।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আগামীকাল সোমবার থেকে জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা আবাও বাড়বে। তবে এই দুদিন সকাল সকাল রোদের দেখা মিলতে পারে।