Daily News BD Online

উসমানের সেঞ্চুরির পর ১০৫ রানের জয় চিটাগাংয়ের

 


উসমান খানের সেঞ্চুরিতে বড় জুটি পেল চিটাগাং কিংস। এরপর তাদের কাজ এমনিতেও সহজ হয়ে গিয়েছিল।

দুর্বার রাজশাহী শুরুতে কিছুক্ষণ পাল্লা দিতে পারলেও নিয়মিত উইকেট হারিয়ে খুব বেশিদূর আর এগোতে পারেনি।  

শুক্রবার মিরপুরে বিপিএলের ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়েছে চিটাগাং কিংস। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রানে করে চিটাগাং। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতেই ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী।  

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে চিটাগাং কিংস। তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বড় রান এনে দেন উসমান খান ও গ্রাহাম ক্লার্ক।  

পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৭২ রান গড়েন তারা। ক্লার্ক ও উসমানের জুটি ভাঙেন সোহাগ গাজী। ২৫ বলে ৪০ রান করা ক্লার্ককে আউট করেন তিনি। ৬৩ বলে দুজনের জুটি ছিল ১২০ রানের।  

ক্লার্ক ফেরার আগেই ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন উসমান। তার ব্যাট থেকে আসে এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিও। ৪৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় তিন অঙ্কে পৌঁছান তিনি। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি।  

১৮তম ওভারে গিয়ে আউট হওয়ার আগে ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৬২ বলে ১২৩ রান আসে উসমানের ব্যাট থেকে। এছাড়া ১৫ বলে ২৮ রান আসে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে। দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তাসকিন।

বড় রান তাড়ায় নেমে রান তোলায় গতি থাকলেও নিয়মিত উইকেটও হারায় রাজশাহী। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করে তারা। বেশির ভাগ রানই আসে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ৩২ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন তিনি।  

রাজশাহীর হয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৯ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ হারিস, সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। এর বাইরে ইয়াসির আলি ও আকবর আলি ২০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন। ইয়াসির ১৫ বলে ১৬ ও আকবর ১২ বলে ১৮ রান করেন।

বাকি ব্যাটাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। চিটাগাংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম। তিন উইকেট নেন ৪ ওভারে ২৩ রান দেওয়া আরাফাত সানিও।  


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন