আনোয়ার হোসেন রংপুর জেলা প্রতিনিধি
ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন (ভিএস) ডা: মিজানুর রহমান। তার প্রেসক্রিপশন পেয়ে অসুস্থ গবাদিপশুর সাথে খামারী এবং কৃষকরাও অসুস্থ হচ্ছেন। অতিরিক্ত ওষুধ এবং মোটা অংকের ভিজিটের টাকা গুনতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন। ওই ভিএস চিকিৎসা সেবার চেয়ে নিজের পকেট গরম করতেই মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন।পীরগঞ্জের পশুর চিকিৎসা এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অনেক গবাদিপশু মারা যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগের ভিএস ডা: মিজানুর রহমান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দল আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন। তার বাড়ী পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৭/৮ কিমি দুরে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট নামকস্থানে। বছর ধরে ওই ভিএস পীরগঞ্জে চাকুরী করছেন। তিনি রোগাক্রান্ত গবাদিপশুর চিকিৎসা দিতে গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে গেলে কৃষক বা খামার মালিকদের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ভিজিট নেন। এছাড়াও ওষুধের লম্বা প্রেসক্রিপশনও দেন। আবার ওই ওষুধ তার কাছে বা তার নির্ধারিত দোকান কিনতে হয়। এতে একটা গরুর চিকিৎসায় ২ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। গবাদিপশুর মালিকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এবং প্রতারিত হচ্ছেন। সেইসাথে সরকারি ঔষুধ ব্যাগে নিয়ে তিনি বাহিরে চিকিৎসা দেন এবং সরকারি ঔষুধেরও দাম নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি তার চিকিৎসায় শতাধিক গরুর, ছাগল মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে জানা গেছে, তিনি ঠিক মত অফিস না করায় রোগাক্রান্ত গবাদিপশু আনলেও অনেকেই চিকিৎসা না পেয়েই ফিরে যান। তবে অফিসে তার দালাল রয়েছে, তারা ডা: মিজানুর রহমানের ভিজিটিং কার্ড হাতে ধরিয়ে দিয়ে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। একটি সুত্র জানিয়েছে, পীরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার দুগ্ধ খামার, ৩-৪ হাজার মোটাতাজাকরন খামার এবং ২-৩ হাজার মুরগীর খামার রয়েছে। এ ব্যাপারে খামারী কাশিমপুরের মানিক মিয়া, সেকেন্দার মিয়া বলেন, এ উপজেলা প্রানীসম্পদ বান্ধব। এমন অসৎ, দুর্নীতিবাজ ভি,এস থাকলে খামারীরা আতঙ্কে দিন করাচ্ছেন বলে জানা যায়।
Tags
রংপুর