Daily News BD Online

যমুনার বালুচরে চিনাবাদামের সাম্রাজ্য

 


বগুড়া: যমুনা নদীর পানি তলানীতে ঠেকেছে। চারিদিকে ধু-ধু বালুচর। এ বালুচরে তেমন কোনো ফসল হয় না। তবে কয়েক বছর ধরে চরের কৃষকরা চিনাবাদাম চাষ শুরু করেছেন চরের বালু মাটিতে।

একেবারেই কম খরচে বেশ লাভ হওয়ায় চরে চিনাবাদাম চাষ প্রতি বছরই বাড়ছে।

বগুড়া জেলার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদী। শুষ্ক মৌসুমে নদীর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বালুচর জেগে ওঠে। এ চরের প্রধান ফসল মরিচ। এছাড়া ভুট্টা চাষও হয়ে থাকে ব্যাপক।


এলাকার কৃষকরা জানান, চিনাবাদাম চাষে খরচ একেবারই কম।


বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে তিন উপজেলায় যমুনা নদীর চরের ৫০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম চাষ করা হয়েছে। গত বছর চাষ করা হয়েছিল ৪৪ হেক্টর জমিতে। ৫০ হেক্টর জমিতে ৭৩৩ মেট্রিক টন চিনাবাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে কৃষি বিভাগ।

তবে কৃষকরা বলছেন, এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় বাদাম উৎপাদন অনেক বেশি হবে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজল, ধারা, বর্ষা, শোনপচা চর ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা চিনাবাদামের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।


শোনপচা চরের কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাদাম চাষে সার এবং নিড়ানি প্রয়োজন হয় না, সেচও দিতে হয় খুব কম। যার কারণে বাদাম চাষে খরচ একেবারেই কম।


ফলন এবার বিঘা প্রতি আট থেকে ১০ মণ হবে বলে কৃষকরা জানান। এছাড়া উৎপাদিত বাদাম বিক্রির জন্য হাটে যেতে হয় না কৃষকদের। ব্যাপারীরা এসে জমি থেকেই বাদাম কিনে নিয়ে যান। কাঁচা অবস্থায় জমি থেকে বাদাম বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। সেই বাদাম শুকিয়ে বিক্রি করা হয় ১৫০ টাকা কেজি দরে। 

তিনি বলেন, কম খরচে ফলন ভালো পাওয়ায় চরের অনেক কৃষক এখন চরে বাদাম চাষ শুরু করেছেন।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবুর রহমান বলেন, চরের জমি অত্যন্ত উর্বর। শুষ্ক মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফসল ভালো হয়। জমি উর্বর হওয়ার কারণে তেমন সার দিতে হয় না। কয়েক বছর ধরে কৃষকরা চরে বাদাম চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন। দিন দিন চরে বাদাম চাষ বাড়ছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন