মোঃ হাবিব মিয়া হাওরাঞ্চল :
কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার নতুন বাজার মাছ আড়তে দিনে কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়।
নতুন বাজার মাছ আড়তে গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নৌকা ভরে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ বাজারে নিয়ে এসেছেন।
মাছের বাজারের আড়তে তখন মাছের দাম হাঁকিয়ে বেচাকেনা চলছে। এখানে কেজি দরে মাছ বিক্রি হয়।
হাওরের বড় চিংড়ি আর গুলশা ট্যাংরা বিক্রি হয়। পাশাপাশি বোয়াল ও আইড় মাছও বিক্রি হয় ভালো।
সব মিলিয়ে এ বাজারটিকে দেশি নানা জাতের মাছের ভাণ্ডার বলা যায়।
এখানে নানা জাতের মাছ দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে বোয়াল, আইড়, চিতল, রুই, কাতলা, মৃগেল, বাইন, কার্প, কালিবাউশ, পাবদা, মেনি (রয়না), পুঁটি, কই, মাগুর, শিং, চিংড়ি, গুলশা, শৌল, কাঁচকি, টাকি, কাইক্কা, চাপিলা, চান্দাসহ প্রায় ৫০ জাতের ছোট বড় দেশি মাছ।
কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্ট্গ্রাম উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের দিরাই ও নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলার বিভিন্ন হাওর থেকে আসে এসব মাছ।
প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে মাছের কেনাবেচা। জেলার স্থানীয় বাজারে যায় এ মাছ। এছাড়া আড়তদারদের হাত হয়ে এ মাছ ট্রাকে করে চলে যায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
বাজারের মাছের আড়তদাররা জানান, এখন মাছের সরবরাহ কমে গেছে। আর তাই মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। আগের চেয়ে কেজি দরে মাছ ক্ষেত্রভেদে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দাম বেড়েছে। তবে এরপরও মাছের বাজার ভালোই চলছে।
মাছ বাজারের মেসার্স ভাণ্ডারি মৎস্য আড়তের জামাল উদ্দিন জানান, বাজারে মাছ কম আসছে। এতে করে মাছের দাম কিছুটা বাড়তি। বিশেষ করে বোয়াল মাছের দাম বেড়েছে।
মাছের বেচাকেনা মোটামুটি থাকলেও দাম নিয়ে সন্তুষ্ট বলেও জানান তিনি।
এ মাছ বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়ি যাচ্ছেন
ষাইটধার সাহা পাড়া এলাকায় মোঃ মাহবুব মিয়া তিনি বলেন, নিয়মিত এ বাজার থেকে মাছ কেনা হয়। ১৮০ টাকা কেজি দরে বড় সাইজের তিনটি গ্রাসকার্প মাছ কিনেছেন। মাছের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেশি রেখেছে।
ছোট বাঁশের খাঁচায় করে দেশি আইড়, রুইসহ নানা জাতের মাছ নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে এসেছেন বাজারের পাশের পূর্ব গ্রামের রিমেল মিয়া তিনি বলেন, আমার মাছ কেজি দরে সাড়ে চারশ’ টাকা চেয়েছি। কিন্তু সাড়ে তিনশ’ টাকা কেজি দরে দাম করেছেন এক ক্রেতা। আর কিছুটা দাম বাড়ালে মাছ বিক্রি করে চলে যাবো।
হাওরের মিঠাপানির মাছের কারণে এ বাজারে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়, এ দাবি করেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
এ বাজারে আইড় ১২০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ টাকা, গুলশা ৬০০ টাকা, ট্যাংরা ৩০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ টাকা, চিতল মাছ ৫৫০ টাকা, রুই ৩০০ টাকা, কাতলা ৪০০ টাকা, বাইন ৮০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, কই ৩০০ টাকা, মাগুর ৪৫০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা, শৌল ৪৫০ টাকা, পোডা ৬০ কেজি, চাপিলা ২০০ টাকা, চান্দা ১০০ টাকা, টাকি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
Tags
কিশোরগঞ্জ