আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের মাপযন্ত্রে তাপমাত্রা বাড়লেও গত তিন দিন ধরে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের হিমকন্যা পঞ্চগড়। এতে করে জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে মৌসুমের টানা কুয়াশা ঝরা শীত। কুয়াশার কারণে নিম্নআয়ের মানুষগুলো সময় মতো কাজে যেতে না পারায় বেড়েছে আর্থিক দুর্ভোগ। আয় রোজগার কমে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই নিম্নআয়ের মানুষগুলো। বুধবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার আবৃত এ জেলা। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। ঝিরিঝিরি হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে এ জনপদের মানুষদের। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্বল্প ও নিম্নআয়ের মানুষগুলোকে।
প্রয়োজনের ব্যতিরেকে অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে কাজে বের হতে দেখা গেছে ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিন মজুর থেকে নিম্নআয়ের মানুষদের। তবে ঘন কুয়াশা ও বাতাসের কারণে কাজে যেতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানাচেছন তারা। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা উঠানামা করায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য শীতজনিত রোগব্যাধি। প্রতিদিন জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হযে ভিড় জমাচ্ছেন রোগীরা। এসব রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
সকালে জামাল উদ্দিন, জসিমসহ কয়েকজন পাথর শ্রমিক বলেন, কয়েকদিন আগে প্রচণ্ড শীতেও ভোর সকালে ঝলমলে রোদ দেখা গেছে। কাজ কাম করতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু গত তিনদিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডা বাতাস ও বরফ শিশির ঝরায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। সবমিলিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছি। একই কথা বলেন কয়েকজন নারী পাথর শ্রমিকও।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা বাড়লেও ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের এ জেলা। বুধবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।