মোঃ হাবিব মিয়া,হাওরাঞ্চল( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে জেলা কনকনে শীতে কাঁপছে নিকলীর হাওরের মানুষ, বিপাকে দরিদ্র শ্রমজীবীরা জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। টানা কয়েকদিন ধরে এ উপজেলায় ওপর বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে গ্রাম, শহর-হাওরাঞ্চল ও মাঠ প্রান্তর। গত ৩ দিন ধরে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে উদয়-অস্তে দেখা মিলছে না সূর্যের। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়।
বৃহস্পতিবার (২জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীতে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আক্তার ফারুক জানান, গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিনই নিকলী উপজেলা তাপমাত্রা কমছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। নিকলীতে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
নিকলীতে ঘন কুয়াশায় আর কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে গ্রামীন জনপদ। বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। মাত্রাতিরিক্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পুরো উপজেলা। একই সঙ্গে কমছে তাপমাত্রা। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজন। রিকশাচালক কাদির মিয়া বলেন, যে কনকনে ঠাণ্ডা আর ঘনকুয়াশা পড়ায় রিকশা বের করে বিপদে পড়েছি। রিকশার হান্ডেল ধরে রাখতে পারছি না। শরীর বরফ হয়ে যাচ্ছে।
দিনমজুর সাজ্জাদ হোসেন (দোলন) বলেন, এত ঠাণ্ডায় কাজে বের না হয়ে কি করি সংসার তো চালাতে হবে। কাজ না করলে বউ বাচ্চাকে কি খাওয়াবো।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। গরম কাপড় না থাকায় অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কেউবা আশায় বুক বেধে আছেন এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য।
নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সজীব ঘোষ বলেন, নিকলী হাসপাতালে গত মাসের চেয়ে এ মাসে ৮ থেকে ১০ শতাংশ রোগির সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও আউটডোরে প্রতিদিন ২০০-৩০০ রোগি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেড়েই চলছে।
Tags
কিশোরগঞ্জ