জাতীয় নির্বাচনের পথে যাত্রা শুরু হচ্ছে বিএনপির



বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এখন জাতীয় নির্বাচনের দিকে মনোযোগী। দলটির নির্বাচনমুখী যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য বর্ধিত সভা থেকে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মহল থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবি উঠলেও বিএনপি সেটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। বরং জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কর্মসূচি তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে দলটি। রমজান ও ঈদুল ফিতরের পরপরই এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হবে, যার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে আগামীকালের বর্ধিত সভায়।

সভাটি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে। এতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মহানগর, জেলা, থানা, উপজেলা ও পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া এবং প্রাথমিক মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা নেতাদেরও সভায় থাকার কথা রয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ মনে করেন, এই বর্ধিত সভা সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ। দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপন একে 'যাত্রাবিন্দু' আখ্যা দিয়ে বলেন, "একদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা, অন্যদিকে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা—এই দুই বিষয়কে একত্রিত করে বর্ধিত সভা থেকে জাতীয় নির্বাচনমুখী বার্তা দেওয়া হবে।"

এর আগে, ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হোটেল লো মেরিডিয়েনে বিএনপির সর্বশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সভাপতিত্ব করেছিলেন, যা অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার কারাবাসের মাত্র চার দিন আগে। সাত বছর পর, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিএনপির নতুন এই বর্ধিত সভা হতে যাচ্ছে।

সভা আয়োজনের সার্বিক তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন