দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান। আগামীকাল রাত থেকেই শুরু হচ্ছে মুসলিম ধর্মালম্বীদের সিয়াম সাধনার মাস। আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়াতে বাজারে বেড়েছে ক্রেতাদের আনাগোনা। এ বছর রমজান ঘিরে ভোগ্যপণ্যের দাম এখনো অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে সংকট রয়েছে ভোজ্য তেলের।
অন্যদিকে ডিম ১৩০ টাকা ডজন, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, ইলিশ ১ হাজার টাকা, পাঙাশ ২৪০ টাকা, বোয়াল ৫০০ টাকা ও বড় রুই মাছ ৪৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, অন্যান্যবার রোজার আগের চেয়ে এবার একটু স্বস্তি রয়েছে বাজারে। বিষয়টির সঙ্গে বিক্রেতারাও একমত হয়েছেন। তারা বলছেন হুট করেই এবার কোনো কিছুর দাম বাড়েনি। যা বাড়ার তা আগেই বেড়েছে।
ক্রেতা জাহিদ আহসান বলেন, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম গত সপ্তাহের মতোই অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো কোনো জিনিসে ৫/১০ টাকা বাড়তি মনে হচ্ছে। তবে সেটার পরিমাণে একেবারেই কম। কিন্তু বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা আলভি বলেন, সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে অস্বাভাবিক যে বাড়া, সেটি নয়। অনেক সবজির মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে, ফলে ঐসব সবজির দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।
বাজারের মুদি দোকানি মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, বাজারে পণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা কাওরান বাজার থেকে তেল নিয়ে আসি। সেখানে ফ্রেসের ডিস্ট্রিবিউটর আছে। আগে আমরা দুই কার্টুন তেল নিয়ে আসতাম। এখন তেল দেয় দুই তিন পিস। এই দুই তিন পিস তেল আমি কাকে দেব। আমার তো অনেক বান্দা কাস্টমার আছে, তাদের কেউ তো তেল সরবরাহ দিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন ৮৫০ টাকায় যে তেল বিক্রি করতে হয়, সেটি কিনতে হচ্ছে ৮৪৬ টাকায়। পরিবহন খরচসহ তাহলে কত টাকা লাগে? আমরা ২০ টাকা বেশি বললে, তখন ম্যাজিস্ট্রেট এসে আমাদের ধরে।