মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ধারালো অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে ধলেশ্বরী নদীর তীরে এক পোশাককর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ভয় দেখানোর কারণে ১৫ দিন ঘটনাটি লুকিয়ে রেখেছিলেন ভুক্তভোগী। তবে গতকাল শুক্রবার ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন ওই নারী।
মামলা করার পর সিরাজদিখান থানা-পুলিশ শুক্রবার রাতেই উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চরচসুমদ্দিন গ্রামে অভিযান চালিয়ে নুরুল ইসলাম নুরু (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ধলেশ্বরী নদীর তীরে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার উল্লেখ করে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন। ঘটনার দিন কর্মস্থল থেকে অটোরিকশায় তিনি স্বামীর দোকানে যাচ্ছিলেন। পথে অটোরিকশাটির গতিরোধ করে ২ যুবক। ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় ধলেশ্বরী তীরের নির্জন স্থানে। সেখানে আরও ৩ যুবক আসে। এরপর তাঁরা ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ধর্ষণ শেষে তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। মারধরও করেছে। এতে মামলা দিতে বিলম্ব হয়। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে থানায় মামলা রুজু করা হয়। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম নুরুকে আজ শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Tags
মুন্সিগঞ্জ