সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতির রাজত্বরে নতুন শাসক, ছাত্রদল নেতা রাকিবুর রহমান সাগর। মতি ও তার বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে বীরদর্পে মতির রাজত্ব শাসন করছে এই সাগর। জুলাই আগষ্টের ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকার পতনের পর মতি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে তার সিংহাসনে বসে তার ভাজিতা ও একসময়ের বিএনপি নেতা আবুল কাশেম ওরফে গলাকাটা কাশেমের ছেলে, রাকিবুর রহমান সাগর। সিদ্ধিরগঞ্জের স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতারা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির অবৈধ সকল আয়ের উৎস নিয়ন্ত্রন করছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর। বিএনপির অসংখ্য নির্যাতিত ও মাঠ পর্যায়ের নেতারা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানান আদমজী ইপিজেডে মতির নিয়ন্ত্রিত প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা থেকে শুরু করে প্রতিটি কারখানার সকল প্রকার সাপ্লাই ও ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে এই সাবেক ছাত্রদল নেতা, এমনকি ঐসকল ব্যবসা পরিচালনা করতে আওয়ামী সিন্ডিকেটের প্রদান কৃত লাইসেন্স নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতির সাথে গোপনে একটি চুক্তি পত্রের মাধ্যমে তাদের সাথে মিলেমিশে সিদ্ধিরগঞ্জের সকল ব্যবসা বানিজ্য টেন্ডারবাজী চাঁদাবাজি এমনকি ৭ নং ওয়ার্ডের সকল প্রকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে এই সাগর। স্থানীয় বিএনপি নেতারা আরোও জানান যুবলীগ সন্ত্রাসী মতি বাহিনীর অন্যতম কমান্ডার আক্তার হোসেন ওরফে পানি আক্তারের সাথে হাত মিলিয়ে সকল প্রকার ব্যবসায়ীক গোপন তথ্য আদান প্রদান করার স্বার্থে পানি আক্তারকে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে থাকতে সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছে এই তরুন সুবিধাবাদী ছাত্রদল নেতা। যার জন্য ৬ নং ওয়ার্ডের বেশির ভাগ আওয়ামী ক্যাডাররা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্যদিকে পালিয়ে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় বীরদর্পে মতির রাজত্ব সহ আদমজী ইপিজড শাসন চালিয়ে যাচ্ছে সাবেক এই ছাত্রদল সিন্ডিকেট প্রধান সাগর। এছাড়াও স্থানীয়রা জানান সুমিলপাড়া মুনলাইট একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা,কদমতলি এলাকার বালু ভরাটের ড্রেজার থেকে চাঁদাবাজি, গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকা, ভান্ডারির পুল, আদমজী কবরস্থানের বড় পুকুর ও ডিএনডি খালের দুটি অংশ দখল করে শুরু করেছে মাছের চাষ। নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডের একাংশের ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসার দখলও নিয়েছে এই সাগর। এছাড়াও ঐসকল ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে কদমতলী নয়াপাড়া এলাকাসহ আশে পাশের এলাকায় গড়ে তুলেছে একাধিক সিন্ডিকেট ও দলীয় কার্য্যলয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান, গত ৫ ই আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর নাভানাভূঁইয়া সিটি এলাকায় আওয়ামী কর্মী মজিবর ওরফে ঝুট মজিবরের ঝুটের গুদাম তালা লাগিয় ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সাগর। তার ঐসকল কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় গত ৮ সেপ্টম্বর রাতে কদমতলী এলাকার বিএনপি নেতা শামীম ড্যালী ও তার লোকজনের উপর সাগরের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে অন্তত ৬ জনকে গুরুতর ভাবে আহত করে সাগর বাহিনী, ওই হামলায় সরাসরি অংশ নেয় পানি আক্তার বাহিনী। উক্ত হামলার প্রতিবাদ ও সাগরের বিচার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে শামীম ড্যালী ও তার কর্মীরা। কয়েকদিন পরেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়,ফলে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতির পদ হারায় সাগর, তবুও থেমে থাকেনি তার দখলবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। গোপন সূত্রে জানাযায় সকল প্রকার অবৈধ আয়ের ভাগের অংশ ভাতিজা সাগর চাচা মতির মনোনীত ব্যক্তির নিকট পাঠিয়ে দিচ্ছে প্রতি মাসে। ফলে ভাতিজা সাগরকে এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করতে গোপনে সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জের যুবলীগ সম্রাট মতিউর রহমান মতি, জানাযায় বর্তমানে মতি তার পুত্র সহ কারাগারে থাকলেও তাকে আইনি সহায়তা দিতে বিএনপির হাই কমান্ডদের সাথে প্রতি নিয়তো যোগাযোগ বহাল রেখেছে সাগর।
এবিষয় জানতে সাগরকে একাধিকবার ফোন করার পরেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোনে রিং হলেও সে রিসিভ করেনি। এমতাবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংকিত স্থানীয় বিএনপি নেতারা, তাই দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সকলে।