বিনোদন ডেস্ক : কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ইনফ্লুয়েন্সেররা সমাজের জন্য হুমকি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য এন্টারটেইনমেন্ট এবং ব্যবসার একটা অংশ হলো কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ইনফ্লুয়েন্সাররা। তবে ভিউ এর মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া এই সকল কনটেন্ট ক্রিয়েটর সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমি কক্ষনোই কারো ব্যক্তিগত বিষয় কথা বলতে আগ্রহী না তবে যদি বিষয়টা আমার সমাজ , আমার দেশের জন্য হুমকি হয় অবশ্যই এটা নিয়ে কথা বলা আমার দায়িত্ব। কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা ইনফ্লুয়েন্সেররা যেভাবে নিজেদের ছোট করছে সাথে সমাজকে ধ্বংস করছে। তারা নিজেদের ইচ্ছে মতো কনটেন্ট বানাচ্ছে ,ভাষা ব্যবহার করছে , খুব অসামাজিক ভাবেই নিজেদের কে প্রকাশ করছে শুধু ভিউ পাওয়ার জন্য। কারণ এখানে কোনো বাধা নিষেধ নেই , নেই কোনো নিয়ম ,নেই কোনো স্বচ্ছতা।
টিভি চ্যানেল গুলোতে কক্ষনোই আপনি সামাজিক অবক্ষয় হবে এমন কিছু দেখেন না কারণ এটা একটা নীতিমালা আছে।
এখানে কিছু স্বচ্ছতা আছে ,প্রফেশনাল ভাবেই কাজ করতে হয়। দুঃখজনক ভাবে হলেও এটা সত্যি যে বাংলাদেশে ফিল্ম বা মূল ধারার এন্টারটেইনমেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েশন একটা বড় জায়গা করে নিয়েছে। সব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আমি কক্ষনোই এক বলতে পারি না কারণ অনেকেই আছে যাদের কনটেন্ট থেকে অনেক কিছু শেখার আছে অনেক কনটেন্ট থেকেই আমরা বিনোদন পাচ্ছি। কিন্তু বেশির ভাগ তথাকথিত ইনফ্লুয়েন্সাররা সামাজিক অবক্ষয় ঘটাচ্ছে।
এদেরকে যদি না থামাতে পারেন আমাদের ,আপনাদের এই সমাজ আরো হুমকিতে পড়বে কারণ সবার কাছেই মোবাইল আছে আর এগুলো দেখে অবশ্যই ভালো কিছু শিক্ষা নিবে না। এরা লাইভ এ এসে যাতা করছে। খুব বাজে অঙ্গভঙ্গি ,খুব বাজে ভাষা এবং খুব বাজে ভাবেই অন্য প্রফেশন কে ছোট করছে। শুধু ভিউ এর জন্য এরা সমাজকে ধ্বংস করছে।
তাই গণমাধ্মম কর্মী ভাইবোনদেরকে বলবো শুধু ভিউ এর জন্য এদের কে আর প্রমোশন করবেন না কারণ যদি এমন হতে থাকে। একটা সময় আসবে আমাদের ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রি যে ভুল করে আজকে আমাদের ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রি শেষ হয়ে যাচ্ছে ,একটা সময় আমাদের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ও একই সমস্যাতে পড়বে। তাই সমাজ এর কথা ভাবুন দেশের কথা ভাবুন। আপনাদের সন্মান এই আমরা।
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের বলবো আপনাদের ও দায়বদ্ধতা আছে এই দেশের এবং এই সমাজের প্রতি , তাই অনুরোধ করে লাইভ এ এসে এমন কিছু করবেন না এমন কোনো কনটেন্ট বানাবেন না যেটা সমাজেকে ধ্বংস করে।
সেলিব্রিটি ফ্যাশন মডেল মাহমুদ রিফাত স্পেনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন | ইমাম মাহমুদ রিফাত মিস অ্যান্ড মিস্টার গ্লোবাল স্পেন ২০২৫-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্টটি বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক ফ্যাশন মডেল হিসেবে তার প্রোফাইলকে আরও বাড়িয়ে দেবে। মিস্টার অ্যান্ড মিস গ্লোবাল স্পেন ,স্পেনে অনুষ্ঠিত একটি জাতীয় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের সৌন্দর্য, প্রতিভা এবং বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করে বিভিন্ন রাউন্ড এবং সেগমেন্ট রয়েছে। বিজয়ী এবং অংশগ্রহণকারীরা প্রায়শই মডেলিং এবং বিনোদনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এক্সপোজার এবং সুযোগ লাভ করে। এই কৃতিত্বটি তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে আরেকটি মাইলফলক চিহ্নিত করে, বিশ্ব ফ্যাশন শিল্পে তার বিশিষ্টতা এবং স্বীকৃতি তুলে ধরে।
তিনি বাংলাদেশের অসাধারণ প্রতিভাবান আন্তর্জাতিক ফ্যাশন মডেল। বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ফ্যাশন মডেল এমাম মাহমুদ রিফাত বিশ্ব মঞ্চে আলোড়ন তুলেছেন। মিস্টার ইউনিভার্সের খেতাব অর্জনকারী প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে, ২০২৪ সালে দ্বিতীয় রানার-আপ অবস্থান নিশ্চিত করে, তিনি তার দেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছেন। রিফাতের কেরিয়ার শুরু হয় ২০১৯সালে, এবং মিস্টার অ্যান্ড মিস ফটোজেনিক ২০২২ প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করার পর তিনি বিশিষ্টতা অর্জন করেন।তিনি মুম্বাই ফ্যাশন উইকে তার প্রতিভা প্রদর্শন করেছেন এবং আমেরিকান ব্র্যান্ড স্কাইফরেস্টের সাথে একটি উল্লেখযোগ্য ফটোশুট সহ অসংখ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করেছেন। ইমামের কৃতিত্ব তাকে পানামার ক্যাবলেরো ইউনিভার্স এবং মিস্টার ইউনিভার্স ইন্টারন্যাশনালের মতো মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্টে আমন্ত্রণ পেয়েছে। বাংলাদেশী ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম কনিষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল মডেল হিসেবে রিফাত অসাধারণ প্রতিভা এবং নিষ্ঠার সাথে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করে চলেছেন|বাংলাদেশের জন্য মিস্টার ইউনিভার্স ২০২৪ পদে জয়লাভ করে একটি রেকর্ড করেছেন, যা তার দেশকে অত্যন্ত গর্বিত করেছে। তার মডেলিং ক্যারিয়ারের পাশাপাশি, তিনি সক্রিয়ভাবে সামাজিক কাজের সাথে জড়িত এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশী সংস্কৃতি প্রচারের জন্য উত্সাহী। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরার ইচ্ছার ওপর জোর দিয়ে এমাম তার দেশ ও সংস্কৃতির প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। সামাজিক কাজ এবং সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্বের প্রতি তার উত্সর্গীকরণ ফ্যাশন শিল্পের অভ্যন্তরে এবং তার বাইরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে তার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। ইমাম সবসময় তার সংস্কৃতি এবং তার দেশের জন্য কাজ করতে চান।