তালিকা থেকে বাদ যাবে সাড়ে ১০ লাখ ভোটার

 


বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তথ্য সংগ্রহের এই কাজ শেষ হয়েছে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি)। এবার মোট ৪৭ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ মৃত ভোটার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে। 

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানান, আমরা ১০ লাখ ৩৯ হাজার ২২০ জন মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেছি। আর নতুন করে ভোটার হবে এমন ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৪ জন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছি। সোমবারের তথ্য এখনো যোগ হয়নি। তাই এই সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে।

গত ২০ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার ছিল তথ্য সংগ্রহের শেষ দিন।

 

ভোটার তালিকা হালানাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে...

ক) ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি।

খ) জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি।
গ) নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)।
ঘ) এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
ঙ) ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)।

ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে

ক) নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্মনিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে।
খ) জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
গ) স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।
ঘ) কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।

এক সতর্কবার্তায় ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।

সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন