শ্বাসরূদ্ধকর এক ফাইনাল। ১৯৫ রানের লক্ষ্য। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রান। বোলার হোসাইন তালাত। উইকেটে ছিলেন রিশাদ হোসেন আর এবাদত হোসেন। প্রথম বলেই লং অনের ওপর দিয়ে সোজা ছক্কা মেরে দিলেন রিশাদ হোসেন। পরের বলে একটি সিঙ্গেল এবং একটি ওয়াইড। তিন বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিলো ফরচুন বরিশাল। টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো তামিম ইকবালের দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে চিটাগং কিংস। জবাবে ১৯.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭৮ রানে ২ উইকেট হারাল বরিশাল। জয়ের জন্য ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ৬৮ রানে আরও ১১৭ রান প্রয়োজন। বিপরীতে ৮ উইকেট প্রয়োজন চিটাগাংয়ের। এক্ষেত্রে অবশ্য নিয়ন্ত্রিত বোলিং–ও তাদের প্রথম শিরোপার স্বপ্ন পূরণ করে দিতে পারে। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠলেও, বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি হতাশা নিয়ে ফিরেছিল।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগাং প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে। পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফি দুজনই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন। ইমন সর্বোচ্চ ৭৮ এবং নাফি করেন ৬৬ রান। এ ছাড়া শেষদিকে গ্রাহাম ক্লার্ক খেলেন ২৩ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও ইনিংস। যা চিটাগাংকে বিপিএলের ফাইনালে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৯৪ রানের পুঁজি এনে দেয়।